Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে যেসব খাবার


দৈনিক পরিবার | জীবনযাপন ডেস্ক এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে যেসব খাবার

শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত জরুরি। অনেক বাবা-মা সন্তানের ওজন কম হওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তবে মনে রাখতে হবে, ওজন বাড়ানোর জন্য কখনই চিনি, ফাস্টফুড বা অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবারের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। বরং স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে শিশুর ওজন ধীরে ধীরে ও সঠিকভাবে বাড়ানো যায়। এখানে থাকছে এমন কয়েকটি খাবারের তালিকা, যা শিশুদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ও তাদের সুস্থ রাখে।
কলা
পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, বি-৬ ও কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর কলা একটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত ফল। এটি স্মুদি হিসেবে শিশুদের খাওয়ানো যায়। ভ্রমণের সময়ও এটি আদর্শ খাবার।
মিষ্টি আলু
ভিটামিন এ, সি, বি-৬ সহ নানা খনিজে ভরপুর মিষ্টি আলু হজমে সহায়ক। সেদ্ধ করে বা স্যুপ বানিয়ে শিশুদের খাওয়ানো যায়।
ডাল
প্রোটিন ও আয়রনে সমৃদ্ধ ডাল সহজে হজম হয় এবং শিশুদের জন্য আদর্শ পুষ্টিকর খাবার। ডাল ৬ মাস বয়স থেকেই শিশুদের দেওয়া যেতে পারে।
ঘি
৮ মাস বয়স থেকেই শিশুর খাবারে কয়েক ফোঁটা ঘি দিতে পারেন।। এটি শুধু ক্যালোরি দেয় না, বরং খাবারের স্বাদও বাড়ায়। ঘরে তৈরি ঘি ব্যবহার করাই ভালো।
দুগ্ধজাত পণ্য
এক বছর বয়সের পর শিশুর খাদ্যতালিকায় দই ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য যোগ করা উচিত। দই হজমে সহায়ক ও ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকর।
ডিম
প্রোটিন, ভালো ফ্যাট ও নানা ভিটামিনে ভরপুর ডিম শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ওমলেট, সেদ্ধ ডিম বা ডিম-ভাত আকর্ষণীয় উপায়ে পরিবেশন করা যায়।
শুকনো ফল ও বীজ
বাদাম, কাজু, কিসমিস, আখরোট, তিল ইত্যাদি শিশুর শরীরে ক্যালোরি ও পুষ্টি যোগায়। এগুলো গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে বা স্ন্যাক্স হিসেবে দেওয়া যায়।
অ্যাভোকাডো
স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ভিটামিনে ভরপুর অ্যাভোকাডো শিশুদের ওজন বাড়াতে সহায়ক। 
মুরগি
প্রোটিনের অন্যতম উৎস মুরগি পেশি গঠন ও ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। হালকা ঝোল, কাবাব বা সালাদ হিসেবে পরিবেশন করা যেতে পারে।
কেন স্বাস্থ্যকর খাবার জরুরি?
চিনিযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার শিশুদের ওজন বাড়ালেও তা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে। যেমন দাঁতের সমস্যা, হজমের গোলমাল বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। উপরে উল্লেখিত খাবারগুলো শুধু ওজন বাড়ায় না, বরং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হজমশক্তি ও শারীরিক গঠনের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।
কীভাবে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় যোগ করবেন?
শিশুর বয়স ও হজম ক্ষমতা অনুযায়ী ধীরে ধীরে নতুন খাবার যোগ করুন। ছোটদের জন্য নরম, মসৃণ খাবার যেমন কলা, আলু ভর্তা বা ডাল উপযুক্ত। বড়দের জন্য ডিম, মুরগি বা শুকনো ফল দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করতে পারেন।
সূত্র : কলকাতা ২৪দ্ধ৭

Side banner