বয়সোপযোগী সঠিক উপকরণ ও পদ্ধতি ব্যবহার করলে ত্বক দীর্ঘদিন সুস্থ থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য ধরে রাখতে এখন অনেকেই আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ জন্য একজন ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। বয়স ৩০ থেকে ৪০ হলে ত্বকের পরিচর্যার রুটিনে কয়েকটি ধাপ রাখা প্রয়োজন, যেগুলো ত্বকের চাহিদা ও সমস্যার ওপর ভিত্তি করে আলাদা হয়।
৩০ থেকে ৪০ বছরে যে সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়
ত্বকে বলিরেখা পড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে গিয়ে বিবর্ণ ভাব স্পষ্ট হয়। ত্বক অনেক সময় ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়।
যেভাবে যত্ন নেবেন
১. চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মোটা দাগ বা ফাইন লাইন কমানোর জন্য রাতে রেটিনয়েড বা রেটিনলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন ।
২. অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ প্রসাধনীর ব্যবহার ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
৩. চোখের চারপাশের ত্বক পাতলা ও স্পর্শকাতর, তাই বিশেষভাবে তৈরিকৃত আই ক্রিম ব্যবহার করুন।
৪. হাইড্রেটিং সিরাম (হাইলুরোনিক অ্যাসিড) বা গ্লিসারিনসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৫. বলিরেখা ও দাগ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সূর্যালোক এড়িয়ে চলতে হবে। এবং এসপিএফ ৩০ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
৬. এই বয়সে হরমোনের পরিবর্তন (মেনোপজ ইত্যাদি) ত্বককে শুষ্ক ও পাতলা করে তুলতে পারে। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিতে পারেন ।
৭. ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে বলে লিপিডসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার বা অয়েল-ভিত্তিক পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
৮. ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং উজ্জ্বলভাব ফিরিয়ে আনতে হালকা কেমিক্যাল পিল বা মাস্ক ব্যবহার।
এক একজনের ত্বকের ধরন আলাদা, তাই ত্বকের যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
আপনার মতামত লিখুন :