নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ভ্যানচালক তামিম খাঁন (১৬) হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ভ্যানগাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তামিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রধান আসামি আমিরুল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
তামিম গত ৩ জানুয়ারি বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে সন্ধ্যা থেকে তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানান। তদন্তে জানা যায়, আমিরুল হোসেন ৩০০ টাকা ভাড়ার কথা বলে তামিমকে নলদী এলাকায় মেয়েদেখা সংক্রান্ত একটি কাজে নিয়ে যান। এরপর রাতেই তাকে হত্যা করে ভ্যানটি চুরি করে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ৪ জানুয়ারি আমিরুলকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে মশাঘুনি গ্রামের একটি ঝোপ থেকে তামিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ভ্যানটি অন্য আসামি সলেমান শেখের বাড়ি থেকে জব্দ করা হয়।
এই ঘটনায় তামিমের বাবা মো. রুবেল খাঁন বাদী হয়ে নড়াইল লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আমিরুলসহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আমিরুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীরের নির্দেশনায় পুলিশ দ্রুত অভিযানে নেমে এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। এখনো অন্যান্য জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নড়াইলের জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :