খুলনার রূপসায় কুদির বটতলায় আততীয়দের হাতে খুন হওয়া ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান ও তার গাড়ী চালক মুন্না হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ১১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। মামলার অপর আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন ওরফে বাঘাকে যাবৎজীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়, অনাদায় আরো ২ বছর সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা ১২ টায় খুলনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩ আদালতের বিজ্ঞ জজ তাসনিম জোহরা এই রায় ঘোষনা করেন।
২০১৩ সালের ১৮ মে খুলনা থেকে ফকিরহাটে যাওয়ার সময় রূপসা উপজেলার কুদির বটতলায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীর হাতে খুন হয় ফকিরহাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান ও গাড়ি চালক মুন্না। এ মামলায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ ও তার শ্যালোক রনিসহ ১২ জনের নামে মামলার চার্জশীট প্রদান করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুধুমাত্র নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের নামে মামলা না দিয়ে যুবলীগ নেতা হারুনসহ অন্যদেরকে আসামী করে নিহত খান জাহিদের স্ত্রী শিরিনা আক্তার কিসলু। এ ঘটনায় স্বাক্ষীদের যুক্তি তর্কে ও জেরায় বাঘার নাম ছাড়া অন্যদের নাম উঠে আসে। দীর্ঘ শুনানীর শেষে আজ বৃহস্পতিবার মামলার রায় প্রদান করা হয়।
বেকসুর খালাস পাওয়ারা হলেন খুলনার রুপসায় কুদির বটতলায় আততায়ীদের হাতে খুন হওয়া ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান ও তার গাড়ী চালক মুন্না হত্যা মামলার প্রধান আসামী ফকিরহাট উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি হারুনর রশীদ (৫৫), বাসার (৩০), জিল্লুর (৪৫) ও আজাদ (৩০), বাগেরহাট মেহেদী হাসান রনি (৩০), মোঃ আলী হোসেন ওরফে বাবলু (২৮) ও গোলাম হোসেন ওরফে ডালিম (২৮), ফকিরহাটের সাবাজ মোল্ল্যা (৪০), শেখ জিন্নাত আলী (৪০), শেখ মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও আব্দুর রহমান (৩৫)।
সাবেক যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ জানান, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার শক্ত অবস্থানকে দুর্বল করতে মামলার মুল আসামীদের বাদ দিয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে আমার নামসহ গ্রামের নিরিহ অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। মহান আল্লাহ একজন আছেন তিনি সঠিক বিচার করেছেন। এ সময় তিনি আদালতের রায়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে বাদির পুত্র আদালতে থাকলেও তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেননি।
আপনার মতামত লিখুন :