মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় এক তরুণীতে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টার মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আরিফ হোসেন।
দণ্ড পাওয়া হাবিবুর রহমান মিজি (৩৫) টঙ্গীবাড়ী উপজেলার উত্তর কুরমিরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিজির ছেলে। হত্যার শিকার সালেহা উদ্দিন ওরফে ডলি (৩০) একই উপজেলার লাখারন গ্রামের প্রয়াত শফি উদ্দিনের মেয়ে।
মামলার বরাতে পিপি আরিফ হোসেন বলেন, অবিবাহিতের পাশাপাশি ডলির মানসিক সমস্যা ছিল। ২০১৮ সালের ২ মার্চ দুপুরে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ডলি। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পরে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান লৌহজং উপজেলার নওপাড়া গ্রামের হাজী কালাম মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকে। সেখানে গোপন কক্ষে এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ডলির ভাই সেখানে গিয়ে লাশটি তার বোনের বলে শনাক্ত করেন।
পরে একই বছরের ৭ মার্চ পুলিশ লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি হাবিবুর রহমানকে আটক করে বলে জানান পিপি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২২ মার্চ ডলির ভাই নূর মোহাম্মদ টঙ্গীবাড়ী থানায় হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাছান সারওয়ার্দী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ হোসেন বলেন, আদালত সঠিক রায় ঘোষণা করেছে। এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :