Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

হত্যার পর দাফন কাফনে সহযোগিতা করেও শেষ রক্ষা হলো না


দৈনিক পরিবার | নওগাঁ প্রতিনিধি জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম হত্যার পর দাফন কাফনে সহযোগিতা করেও শেষ রক্ষা হলো না

নওগাঁয় জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।
হত্যাকাণ্ডের শিকার জাহিদুল ইসলাম (৪১) পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, একই গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জাহিদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার পর মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগা ইউনিয়নের আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্টের নিচে ফেলে রেখে যায় আসামিরা। এ সময় মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো ছিল। পরে তার স্ত্রী থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামিরা মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে নিয়ে গুমের চেষ্টা করেছিল। এছাড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একটি মাঠে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর আসামিরাই ভিকটিমের লাশ উদ্ধারসহ দাফন-কাফনে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছিল যাতে তাদেরকে কেউ সন্দেহ না করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন, মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Side banner