ঢাকা: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার ঘোষিত কোভিড-১৯ বাস্তবতার আলোকে সর্বপরি ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রণীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এর সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী (এমপি)।
মঙ্গলবার (১৭ মে) সোনালী নিউজের সঙ্গে বাজেট প্রস্তাবনার বিষয়ে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, গত অর্থবছর ২০২১-২০২২ কোভিড কালীন বাজেটের ধারাবাহিকতায় এবারও রাজস্ব, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের পুনরুদ্ধার, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ সুরক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, পরিবেশবান্ধব, রপ্তানী বৃদ্ধি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও বলিষ্ট নেতৃত্ব, সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা এবং আগামী অর্থবছরের ব্যবসা বান্ধব বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সুরক্ষাসহ অপ্রতিরোধ্য গতিতে ক্রমাগত এগিয়ে যেতেই থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ এবং ডলারের মুল্যবৃদ্ধির কারণে সার্বিকভাবে সকল আমদানি-রপ্তানি পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ বা এরও অধিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। যা সরাসরি রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সকল খাতের উপর সরাসরি আঘাত বলে মনে করেন ইএবি। পোশাক শিল্পসহ সকল রপ্তানিখাত বর্তমানে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপের কারণে এক নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
পোশাকের দরপতন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও ক্রমাগত নেতিবাচক প্রভাব, ডলারের বিপরিতে মুদ্রার অবস্থান, সুতার দাম বৃদ্ধি, কন্টেইনার ভাড়া বৃদ্ধি, ডাইস, ক্যামিক্যাল এর খরচ বৃদ্ধি, কোভিডের মধ্যে স্বাস্থবিধি মেনে কারখানা পরিচালনায় খরচ বৃদ্ধি, ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধির ফলে পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, প্রতিযোগী দেশগুলো থেকে তুলনামুলকভাবে পিছিয়ে থাকা ইত্যাদি কারণে আমাদের দেশের পোশাক শিল্প সক্ষমতা হারাচ্ছে। বস্ত্রখাত, নীট ও টেরিটাওয়েল খাত, চামড়া ও পাদুকাশিল্প, সাইকেল, মৎস্য, ফ্রোজেন ফুডসহ সকল রপ্তাণীমুখী শিল্পের জন্য একই নীতিমালা প্রনয়ন সময়ের দাবি রাখে।
ইএবির সভাপতি বলেন, রপ্তাণীমুখী সকল শিল্পের জন্য, বস্ত্রখাত, নীট ও টেরিটাওয়েলখাত, চামড়া ও পাদুকাশিল্প, সাইকেল, মৎস্য, ফ্রোজেন ফুড, রপ্তানীর বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ০.৫০ শতাংশ চুড়ান্ত নিষ্পত্তি করে এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য বলবৎ রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও রপ্তানীমুখী এসকল পণ্যের রপ্তানীর বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার উপরে আয়কর কর্তনের হার ০ শতাংশ নির্ধারণ করা দরকার।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি বলেন, রপ্তানীমুখী শিল্পের জন্য রপ্তানী সংশ্লিষ্ট স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত পণ্য ও সেবার ভ্যাট মওকুফ করা। রপ্তানীমুখী সকল শিল্পের জন্য বিশেষকরে বস্ত্রখাত, নীট ও টেরিটাওয়েল খাত, চামড়া ও পাদুকাশিল্প, সাইকেল, মৎস্য, ফ্রোজেন ফুড, রপ্তানীর জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ এবং গ্রীন কারখানার জন্য শতাংশ আগামী পাঁচ বছর বহাল রাখা প্রয়োজন।
এই শিল্পে উচ্চ বিনিয়োগ প্রয়োজন হওয়ায়, লাভজনক হওয়ার যাত্রাটা দীর্ঘমেয়াদী। ভবিষ্যত সম্ভাবনা বিবেচনায় এই শিল্পকে আগামী ২০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা প্রদানের আবেদন জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :