দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে ‘শান্তি’ বজায় রাখতে ফিলিপাইনকে আহ্বান জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে দেশটিকে সতর্ক করে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করার যে সিদ্ধান্ত ম্যানিলা নিয়েছে তা এই অঞ্চলে শুধু অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকিই বাড়াবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
টাইফুন নামের মাঝারি-পাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি ক্রুজ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত করা যেতে পারে যেটি চীনা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। চলতি বছরের শুরুতে যৌথ মহড়ার জন্য এটি ফিলিপাইনে আনা হয়েছিল।
মঙ্গলবার ফিলিপিনো প্রতিরক্ষামন্ত্রী গিলবার্তো তেওডোরো বলেছিলেন, যৌথ মহড়ার জন্য টাইফুনের মোতায়েন বৈধ ও আইনি।
এর আগে, সোমবার দেশটির সেনাপ্রধান রয় গ্যালিডো বলেন, ফিলিপাইনও নিজস্ব মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অর্জনের পরিকল্পনা করছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দাবি নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে বৈরিতা বেড়েছে। দীর্ঘদিনের চুক্তির মিত্র ম্যানিলা ও ওয়াশিংটন সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর করেছে। এতে করে এই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘টাইফুন ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ফিলিপাইন নিজস্ব নিরাপত্তা ও জাতীয় প্রতিরক্ষা অন্যদের হাতে সমর্পণ করেছে এবং ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঝুঁকি ও এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। আর তা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হুমকিস্বরূপ।’
নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মাও বলেন, ‘আমরা আবারও ফিলিপাইনকে পরামর্শ দিচ্ছি, দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য একমাত্র সঠিক পছন্দ হলো কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন, প্রতিবেশির সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন মেনে চলা।’
নিরাপত্তা স্বার্থ হুমকির মুখে পড়লে চীন কখনও চুপ করে বসে থাকবে না বলেও সতর্ক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বিষয়ে বেইজিংয়ে ফিলিপাইন দূতাবাসকে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স।
আপনার মতামত লিখুন :