কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি নদীতে একটি যাত্রীবাহী ফেরি ডুবে গেছে। এতে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন শতাধিক। যাত্রীদের সবাই বড়দিন উপলক্ষে নৌভ্রমণ করে বাড়ি ফিরছিলেন। স্থানীয় কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
গত সপ্তাহেই দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটা নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। নৌকাডুবির চারদিনেরও কম সময়ের মধ্যে এবার ফেরিডুবির ঘটনা ঘটল।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) গভীর রাতে বুসিরা নদীতে এ ফেরিডুবির ঘটনা ঘটে। এরপর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলের কাছে নদী তীরবর্তী শেষ শহর ইনজেন্দের। শহরের মেয়র জোসেফ কাঙ্গোলিঙ্গোলি জানিয়েছেন, ফেরিটি আরও কয়েকটি জাহাজের একটি বহরের অংশ হিসেবে যাত্রা করেছিল। যাত্রীরা পেশায় মূলত ব্যবসায়ী ছিলেন। ক্রিসমাস তথা বড়দিন উপলক্ষে তারা বাড়ি ফিরছিলেন।
ইনজেন্দের বাসিন্দা এনডোলো কাদ্দির মতে, ফেরিটিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলেন। তাই আরও অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করার যথার্থ কারণ রয়েছে। তবে এই ঘটনা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। উদ্ধার অভিযান সম্পর্কেও বিশদ জানাননি।
কঙ্গোর কর্মকর্তারা প্রায়ই নৌকাগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা নিয়ে সতর্ক করে থাকেন। নদীতে সুরক্ষা ব্যবস্থা লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেয়াতেও জোর দেয়া হয়। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সড়কে গণপরিবহন চালানোর সামর্থ্য নেই অনেকের।
এর আগে গত অক্টোবরে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কিভু হ্রদে শত শত যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। তাতে অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়। গত জুনেও রাজধানী কিনশাসার অদূরে মাই-এনদোম্বে প্রদেশের মুশি শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কোয়া নদীতে একই ধরনের দুর্ঘটনায় আরও ৮০ জন প্রাণ হারান।
আপনার মতামত লিখুন :