সিরীয় সরকারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ইসরায়েলি সৈন্যরা ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যকার বাফার জোন দখল করে নিয়েছে। এ নিয়ে বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইহুদিবাদী এই দেশটি। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তারা সেখান থেকে সরবেন না এবং আপাতত সেখানেই থাকবেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে জেরুজালেমে এক বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, গোলান উপত্যকার পাশের বাফার জোনে ইসরায়েলি সৈন্যরা ততদিন থাকবে যতদিন না সিরিয়ার দিকের কোনও বাহিনী ইসরায়েলিদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করছে।
অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিবেশী এই দেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে ১৯৭৪ সালে হস্তক্ষেপ না করার চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য জাতিসংঘ, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশ ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ সাময়িক।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর বাফার জোন থেকে সিরীয় সৈন্য্যরা পালিয়ে যাওয়ায় শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
নেতানিয়াহুর দপ্তর বলছে, জঙ্গি গোষ্ঠীদের সেই শূন্যতা পূরণ করতে এবং গত বছরের ৭ অক্টোবরের আক্রমণের মতো গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলিদের হুমকি সৃষ্টির সুযোগ ইসরায়েল দেবে না।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ব্যুরোর সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (রিজার্ভ) নিতজান নুরেইল বলেন, সিরিয়ার ঘটনাবলীর দিকে খুব সতর্কতার সঙ্গেই নজর রাখছে ইসরায়েল।
নুরেইল বলেন, “সিরিয়ার জন্য সব চেয়ে খারাপ যা হতে পারে, তা হলো— সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের সোমালিয়া হয়ে উঠবে যার অর্থ হচ্ছে— অনেক সংগঠনই পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়তে থাকবে”। আগামী কয়েক বছর সিরিয়াকে কেউ “স্থিতিশীল দেশ” নামে ডাকবে না।
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই সিরিয়ার অস্ত্রের ভান্ডারে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ট্যাংক ও অন্যান্য অস্ত্র আটক করেছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তারা মনে করে ইসরায়েল সিরিয়ার আক্রমণাত্মক সকল সক্ষমতাকে বিনষ্ট করে দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :