Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

চীনের ভিসানীতিতে ভারত-চীন বন্ধুত্বের বার্তা


দৈনিক পরিবার | আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম চীনের ভিসানীতিতে ভারত-চীন বন্ধুত্বের বার্তা

একদিকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র কূটনৈতিক লড়াই চলছে চীনের, ঠিক তখনই ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলো দেশটি।  পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে মোট ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে চীন, এক কথায় যা অভূতপূর্ব।
শুধু ভিসা দেওয়াই নয়, ভারতে বসবাসকারী চীনের রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় লিখেছেন, “আমরা চাই আরো বেশি ভারতীয় বন্ধু চীনে যান। চীনের মুক্ত, নিরাপদ, প্রাণবন্ত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হোন।”
ভারতীয়দের জন্য বিশেষ সুবিধা
আরো বেশি ভারতীয় যেন চীনে যেতে পারেন, সেজন্য বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে চীনের প্রশাসন। ভারতীয়দের এখন আর অনলাইন অ্যাপোয়েন্টমেন্ট চাইতে হবে না। চীনের দূতাবাস বা কনসুলেটে গিয়ে সরাসরি ভিসার আবেদন জমা দেওয়া যাবে। অল্প দিনের জন্য চীনে গেলে ভারতীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে না। এর ফলে সময় বাঁচবে অনেক। সবচেয়ে বড় কথা, ভিসার মূল্য (ভিসা ফি) আগের চেয়ে অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চীনের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়ার করার সময় আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজনেস এবং পর্যটন দুই ক্ষেত্রেই অনেক কম সময়ে ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য চীনের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগলো বেশ কিছু প্রমোশন শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন শহর এবং উৎসবগুলি নিয়ে বিশেষ পর্যটন প্যাকেজ তৈরি করা হচ্ছে।
ভারত-চীন সম্পর্ক
ভারত এবং চীন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল সংক্রান্ত একাধিক মঞ্চ এবং ব্লকে আছে। তবে গত বেশ কয়েক বছরে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। লাদাখে গালওয়ান লড়াইয়ের পর দুই দেশ কার্যত যুযুধান দুই পক্ষে পরিণত হয়েছিল। কোভিড পরবর্তীকালে দুই দেশ কিছুটা কাছাকাছি এলেও সম্পর্ক এখনো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চীনের এই অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াই
শুল্ক নিয়ে কার্যত এক অর্থনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করেছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে নিয়েছে চীনও। সম্প্রতি ভারতে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং বলেছেন, “চীন এবং ভারতের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পরস্পরের পরিপূরক। যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্কনীতি নিয়েছে, তার মোকাবিলায় দুই দেশ পরস্পরকে সাহায্য করতে পারে।”
ইউ জিং বলেছেন, অ্যামেরিকা যে ‘শুল্ক-যুদ্ধ’ শুরু করেছে তাতে কারও হার বা জিত হবে না।
সীমান্তে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) ভারত-চীন উত্তেজনা পুরোপুরি স্তিমিত হয়ে যায়নি। লাদাখ এবং অরুণাচলে এখনো নিয়মিত স্ট্যান্ডঅফ হচ্ছে। তবে চীনের এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা হলেও নরম করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Side banner