Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় শতাধিক নিহত


দৈনিক পরিবার | আন্তর্জাতিক ডেস্ক     এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ১২:১২ পিএম সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় শতাধিক নিহত

সুদানে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষপীড়িত বাস্তুচ্যুত লোকজনের ওপর দুদিনের হামলায় ২০ শিশু এবং নয়জন সাহায্য কর্মীসহ ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
সুদানে জাতিসংঘের আবাসিক এবং মানবিক সমন্বয়কারী ক্লেমেন্টাইন নকওয়েটা-সালামি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আরএসএফ এবং মিত্র মিলিশিয়ারা জমজম, আবু শৌক শিবির এবং উত্তর দারফুর প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী এল-ফাশারের কাছে আক্রমণ শুরু করেছে।
তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার এবং শনিবার আবারও ক্যাম্পগুলোতে আক্রমণ করা হয়েছে এবং জমজম ক্যাম্পে কার্যক্রম পরিচালনার সময় নয়জন সহায়তাকর্মী নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, জমজম এবং আবু শৌক শিবিরে সাত লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষ দারফুর অঞ্চলে লড়াইয়ের কারণে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।
প্রায় দুই বছর আগে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সুদানে বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং সাহায্য কর্মীদের ওপর ধারাবাহিক ভাবে নৃশংস হামলা বেড়ে গেছে। ক্লেমেন্টাইন নকওয়েটা-সালামি বলেন, যারা এ ধরনের কাজ করছে তাদের অবিলম্বে বিরত থাকার জন্য আমি দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
তবে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা সহায়তা কর্মীদের পরিচয় প্রকাশ করেননি। সুদানের ডক্টরস ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, শুক্রবার জমজমে তাদের হাসপাতালে হামলায় রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের ছয়জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছেন।
ইউনিয়ন জানিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদ বাবাকার ইদ্রিস এবং ওই অঞ্চলের প্রধান আদম বাবাকার আবদুল্লাহ। তারা এই অপরাধমূলক ও বর্বর কাজের জন্য আরএসএফকে দায়ী করেছে।
দেশটিতে প্রায় দুবছর ধরে আরএসএফ এবং সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার জন্য লড়াই চলছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আরএসএফের আল-জাজিরাহ অঞ্চলের কমান্ডার সেনাবাহিনীর পক্ষে যোগ দেওয়ার পর থেকে হামলার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
জাতিসংঘ বলছে, সুদানি সশস্ত্র বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে সংঘাত বিশ্বের ‘সবচেয়ে খারাপ’ মানবিক সংকট তৈরি করেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

Side banner