তাইওয়ান প্রণালী সম্পূর্ণভাবে ‘চীনের সার্বভৌমত্বের আওতাধীন নয়’ আর চীন ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো উত্তেজনা সৃষ্টির পদক্ষেপ নিলে তা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সত্যিকারের একটি হুমকি হবে বলে মন্তব্য করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
কানাডার একটি যুদ্ধজাহাজ স্পর্শকাতর জলপথটি অতিক্রম করার পর এর সমালোচনা করে চীন। চীনের এই সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ওই মন্তব্য করে স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, প্রণালীটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা শুধু তাইওয়ানের উদ্বেগের বিষয় না, বিশ্বজুড়ে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দেশগুলোরও সাধারণ উদ্বেগ।
প্রায় এক মাসে একবার মার্কিন নৌবাহিনীর এবং কখনো কখনো তাদের মিত্র কানাডা, ব্রিটেন অথবা ফ্রান্সের যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীর জলপথ পাড়ি দেয়। এই প্রাণলীটিকে তারা আন্তর্জাতিক জলপথ বলে বিবেচনা করে। তাইওয়ানও এটিকে আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু তাইওয়ানকে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড দাবি করা চীন এই কৌশলগত জলপথটিকে তাদের জলসীমার অংশ বলে বিবেচনা করে।
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ প্রণালীটি পার হয়। মার্কিন নৌবাহিনীর এসব তৎপরতায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে দাবি করে চীন এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। কানাডার যুদ্ধজাহাজ প্রণালীটি পাড়ি দেওয়া নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় চীনের সামরিক বাহিনী।
কিন্তু তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহলের’ অংশ হিসেবে ওইসব যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালী পাড়ি দিয়েছে আর চীন তাতে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, জলপথটি দিয়ে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও মিত্র’ দেশগুলির জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা প্রণালীটির বৈধ মর্যাদাকে তুলে ধরার দৃঢ় পদক্ষেপ। এই প্রণলীটি একটি ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা’, এমন ভাব দেখিয়ে চীন একটি ‘মিথ্যা ধারণা’ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিতের বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি এবং রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধেও সাড়া দেয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :