সোমালিয়ায় আইএসআইএলের (আইসিস) গোপন ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো হয় এই হামলা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমালিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্টের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ বলছে, গোলিস পার্বত্যঞ্চলে চালানো হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠীটির এক জ্যেষ্ঠ নেতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা হতাহত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ধীরে ধীরে আইএসআইএলের কার্যক্রম বাড়ছে। যদিও আল কা-য়ে-দা সর্ম্পকিত আল-শা-বা-ব গোষ্ঠীর ব্যাপক উপস্থিতি সোমালিয়ায়।
সোমালিয়ার উত্তরাঞ্চলের যে স্থানে মার্কিন বিমান হামলা হয়, সেখানে গত ডিসেম্বর থেকেই অঞ্চলটির পুন্টল্যান্ড সিকিউরিটি ফোর্সেসের (পিএসএফ) সদস্যরা আইএসআইএলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। বিশেষভাবে অঞ্চলটির গোলিস পার্বাঞ্চলে সম্প্রতি আইসিসের তৎপরতা বেড়েছে।
পুন্টল্যান্ড আঞ্চলিক সরকার জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান চলছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় আইএসআইএলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিহত হওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তবে হামলায় কতজন নিহত হয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে ট্রাম্প ট্রুথ সোশাল প্লাটফর্মে এক পোস্টে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সন্ত্রাসীদের পাহাড়ি গুহাগুলো ধ্বংস হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন থেকে আমাদের ও মিত্রদের উপর হামলার পরিকল্পনা করছিল। তবে এই হামলায় কোনো সাধারণ মানুষ নিহত হয়নি বলে তার দাবি।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক বিবৃতিতে জানান, আইএসআইএলের ওপর এই হামলা পরবর্তীতে সংগঠনটির হামলা চালানোর সক্ষমতা কমিয়ে দেবে, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্রদের জন্য হুমকি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মুহামুদ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ট্রাম্পের সর্মথনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনার সাহসী ও যোগ্য নেতৃত্বকে সোমালিয়ায় স্বাগতম।
যুক্তরাষ্ট্র ও সোমালি সরকারের যৌথ হামলার মাঝেও আইএসআইএল দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বেশকিছু হামলা চলিয়েছে। গোষ্ঠীটি মূলত সোমালিয়ায় চাঁদাবাজি ও চোরাচালানের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :