বগুড়ার সোনাতলা সহ পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা উপজেলার উল্লেখযোগ্য মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে। ফলে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪০০ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে বলে জানা গেছে। যদিও ৩ টাকার টিকেটেই মিলে এখানে মান উন্নত চিকিৎসা সাথে ঔষধ। এদিকে হাসপাতালে সকল বিভাগে চিকিৎসা সেবার পরিবর্তন হলেও এখনো পরিবর্তন হয়নি এক্সরে মেশিনের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আগের পুরাতন মেশিনটি ছিল ১০০এমএ যদিও ২০১৭ সালে নতুন একটা ৩০০এমএ এক্সরে মেশিন প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে চলমান ওই মেশিনের সাথে শুধু কম্পিউটার রাইস রেডিওগ্রাফি (সিআর)যুক্ত হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক্সরে সেবা দেওয়া সম্ভব। যদিও ওই বিভাগ সুত্রে জানা যায় চিকিৎসা সেবার পরিবর্তনে এনালগ পদ্ধতিতে এক্সরে রিপোর্টে পুরোপুরি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এ কারণে ডিজিটাল এক্সরে রিপোর্ট অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা জুমারবাড়ির সেলিম উদ্দিন বলেন, এর আগে একবার শরীরের মাজায় এই হাসপাতালে করা এক্সরে রিপোর্টটি বাহিরে ডাক্তারকে দেখালে তিনি ডিজিটাল এক্সরে রিপোর্ট করে নিয়ে আসতে বলে।
বাইরে এসে চিকিৎসক সহকারীকে জানালে তিনি জানান এটি এনালক পদ্ধতিতে এক্সরে করা। পরে অনুরোধের প্রেক্ষিতে ওই চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন করে দেয়।
রানীরপাড়া আবির হোসেন এর মা জানান, আমি তিন টাকায় টিকিট করে এক্সরে করতে এসেছি। ক্লিনিকে এক্সরে করতে গিয়েছিলাম সেখানে কাছে ৫০০ টাকা চেয়েছে। ক্লিনিকের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারিনি পরে লোকজনের পরামর্শে হাসপাতালে এসে এক্সরে করে নিলাম।
এ বিষয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শাহ বিদারুল হক বলেন, গড়ে প্রতিদিন ২০/২৫জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এক্সরে করতে হয়। বর্তমান ৩০০এমএ মেশিনের সাথে কম্পিউটার রাইস রেডিওগ্রাফি যুক্ত হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক্সরে করা সম্ভব।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুমন মিয়া জানান, এক্স-রে মেশিন ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলমান এর জন্য সিআর মেশিন চেয়ে লিখিত ভাবে চিঠি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :