Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
বন্ধ হলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার

লোহাগড়ায় মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা


দৈনিক পরিবার | রাশেদ রাসু সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম লোহাগড়ায় মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে একজন গর্ভবতী মহিলার জীবন বিপন্ন হওয়ার ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।
গর্ভবতী মহিলা সোনিয়া আক্তার, তিনি মঙ্গলহাটা গ্রামের শিপন শেখের স্ত্রী। গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ লোহাগড়া সিএন্ডবি চৌরাস্তা মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে এসে ভর্তি হন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই মহিলাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে তার প্রসবকালীন জটিলতার কারণে রক্তের প্রয়োজন, তখন তাকে ভুল রক্ত প্রদান করার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
রোগীর রক্তের গ্রুপ এ পজেটিভ হলেও, ভুল ক্রমে তাকে ভিন্ন গ্রুপের এবি পজেটিভ রক্ত শরীরে প্রয়োগ করে । এ ধরনের চিকিৎসাগত অবহেলার কারণে তার শারীরিক অবস্থা মরণাপন্ন পর্যায়ে পোঁছে যায়।
কিন্তু মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক জাকির হোসেন যখন রুগীর শারীরিক পরিস্থিতি বেগতিক  দেখতে পায়  তখন নিজের দায় এড়ানোর জন্য সুকৌশলে তাকে দ্রুত ডক্টরস ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। ডক্টরস ক্লিনিক, রুগীর পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে তাকে খুলনা ২৫০ সজ্জা হাসপাতাল প্রেরণ করেন।
ইতোপূর্বে এই মোরশেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে অপরশন কালীন সময়ে একজন শিশু মারা যায় এবং একাধিক রোগীর ভুল চিকিৎসা প্রদান করেন বলেও জানা গেছে।
তারপর থেকে এখন পর্যন্ত রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন, এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ওই গর্ভবতী মহিলাকে ভুল রক্ত প্রদানের ফলে দুইটি কিডনির  সমস্যা হয়েছে বলে ও জানা গেছে।
রুগীকে ভুল রক্ত দেওয়ার ব্যাপারে ডাক্তার নেয়াজ মোর্শেদের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি কোন প্রকার সদুত্তর দিতে পারেন নাই এবং তাদের কাছে রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন প্রকার ডকুমেন্ট নাই, কোন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ওই মহিলাকে ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দিয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার আইনগত ব্যবস্থার জন্য নড়াইল সদর সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সৃষ্ট ঘটনার বিবরণী কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
তখন সিভিল সার্জন কর্তৃক লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি এইচ ও মাসুদ কে উল্লেখিত ঘটনাটা তদন্তের জন্য বলেন, টি এইচ ও মাসুদ অত্র ক্লিনিকে তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পায় ওটির মধ্যে  অপারেশন কার্যক্রম চলছে কিন্তু  টি এইচ ও  কে ওটি পরিদর্শন করতে দেন নাই, কারন ওখানে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে অপারেশন কার্যক্রম চলছিল।
জানা গেছে শিকদার হাসপাতালের একজন স্টাফ ইব্রাহিম ও ডাক্তার নেয়াজ মোর্শেদ, ওই ২ জনেই তখন ওটির মধ্যে  অপারেশন কার্যক্রম করছিলেন।

Side banner