ইচ্ছামতো পছন্দের খাবার খাবো, কিন্তু ওজন বাড়বে না এই গোপন ইচ্ছা সবার মনেই থাকে। কিন্তু ভারী মশলাদার এবং জাংক খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ওজন বাড়ানো সহ নানারকম শারীরিক জটিলতার সূত্রপাত হয় এসব খাবারের কারণে।
প্রায় সময়ই আমাদের মনে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বা ক্রেভিং জাগে। খাবার যে শুধু ক্ষুধা লাগলেই খায় বা খেতে ইচ্ছা হয়, তেমনটা হয়। অনেক সময় রসনা তৃপ্তির জন্যও বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যায় বা মধ্যরাতে জাংকফুড বা ফাস্টফুডের বিভিন্ন আইটেমের ক্রেভিং হয়।
তবে শুধু রসনাতৃপ্তিতে মনোযোগ দিলে তো হবে না, স্বাস্থ্যকেও প্রাধান্য দিতে হবে। ভালো কিছু অভ্যাস গড়ার মাধ্যমে পছন্দের খাবার খেয়েও ওজন রাখা যাবে নিয়ন্ত্রণে। স্বাস্থ্য এবং স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে অবলম্বন করতে পারেন এই বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিগুলো। উপদেশ দিয়েছেন ভারতীয় লাইফস্টাইল কোচ অনু ত্রিপাঠি-
১. শরীরে ক্যালরি যতটা খাবারের মাধ্যমে প্রবেশ করছে, সঠিক অনুপাতে ক্ষয় হওয়াও জরুরি। আমরা প্রতিদিন হাঁটা, দাঁড়িয়ে থাকা, নড়াচড়া করার মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫% ক্যালরি ক্ষয় করি। অন্তত দৈনিক ৮০০০ কদম হাঁটার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। শুধু হাঁটতে বের হওয়া নয়, প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে এক ঘন্টা পর পর পায়চারি করা, কারো সাথে কথা বলা বা সিঁড়ি চড়ার মাধ্যমেও তা করতে পারেন। অবশ্যই চেষ্টা করবেন লিফটের ব্যবহার না করার।
২. খালি পেটে বেশি মাত্রায় চিনি, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে তাৎক্ষণিক শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এরফলে রক্তপ্রবাহে চিনির চাপ বেড়ে যায় এবং যা চর্বি জমা এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হতে পারে। তাই জাঙ্ক ফুড খাওয়ার আগে প্রোটিন এবং ফাইবার (যেমন বাদাম, দই বা সিদ্ধ ডিম) খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। এক মুঠো বাদাম বা এক বাটি তাজা ফল বা সবজির সালাদ ভালো প্রভাব ফেলে।
৩. ব্যায়াম করলে পেশী যতটা চর্বি ক্ষয় করে, তার তুলনায় ৩ গুণ বেশি ক্যালোরি ক্ষয় কলে! পেশী যত বেশি সেই সমান মেটাবলিজম থাকে, তাই শরীর দ্রুত চর্বি পোড়ায়। মেটাবলিজম ভালো রাখতে সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন ব্যায়াম করতে হবে। স্কোয়াট বা পুশ আপের মতো ব্যায়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে। বেশি ভালো হয় অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ওয়েট ট্রেনিংয়ে মনোযোগী হলে।
৪. দিনে বেশি করে মিষ্টি খাবার খেলে রক্তে বার বার চিনি মিশ্রিত হতে থাকে। রক্তে শর্করার এমন বৃদ্ধি চর্বি জমা, তৃষ্ণা পাওয়া সহ পরিপাকের গতি ধীর হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এই সমস্যা এড়াতে শর্করা সাথে আমিষ বা ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার মিশিয়ে খান, এতে হজমের ধীলগতিতে হবে।
৫. পানিশূন্যতা পরিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এছাড়াও, পেটে ফাঁপাভাব হলে এবং হজম আস্তে হলে পেটে ভারী অনুভব হয়। তাই প্রতিদিন লিটার জল পান করা উচিত। হজম শক্তি বাড়াতে চাইলে পানির সাথে জিরা বা আদা মিশিয়ে পান করুন।
আপনার মতামত লিখুন :