গর্ভধারণের সময়টা একজন নারীর জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময় অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় রাখা জরুরি। গর্ভাবস্থায় কিছু খাবার থেকে দূরে থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মানা করা সেই খাবারগুলো সব হবু মায়েদেরে জন্য ক্ষতিকর নাও হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় নারীর শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন ঘটে থাকে। তাই এসময় অত্যন্ত সাবধানতার সাথে চলাফেরা করা দরকার। একজন গর্ভবতী নারী একা একটি দেহ নয়, তার ভেতরেই বেড়ে ওঠে নতুন প্রাণ।
গর্ভাবস্থায় অবশ্য সব ধরনের খাবারই খাওয়া যায় কিন্তু কিছু খাবার মাঝে মাঝে কারও কারও স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝে নিষেধ হতে পারে। সবজি ও ফলের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন কিছু গাইডলাইন দিয়েছে।
গর্ভাবস্থায় না ধোয়া বা খোসা ছাড়ানো ফল ও সবজি খাওয়া যাবে না। এতে ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী যেমন টক্সোপ্লাজমা, ই কোলি, সালমোনেলা এবং লিস্টেরিয়ার মাধ্যমে দূষিত হতে পারে। কারণ উৎপাদন, ফসল কাটার সময়, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন বা খুচরা বিক্রির সময় যে কোনো ধরনের দূষণ ঘটতে পারে।
টক্সোপ্লাজমা হলো একটি পরজীবী যা ফল কিংবা সবজিতে থাকতে পারে। এই সংক্রমণের কোনো উপসর্গ থাকে না। কিন্তু পরজীবীটি প্লাসেন্টা অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তী জীবনে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং স্মুতিশক্তির সমস্যা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, জন্মের সময় গুরুতর চোখ বা মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে, সমস্ত ফল এবং শাকসবজি পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কিছু ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
পেঁপে: আধা কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স যা গর্ভপাতের জন্য দায়ী হতে পারে। এটা কেবল পাকস্থলীতে ব্যথাই সৃষ্টি করে না পাশাপাশি গর্ভের সন্তানেরও ক্ষতি করে। এই সময় পেঁপে না খাওয়াই ভালো।
আনারস: আনারস একটা টক মিষ্টি ফল। এতে থাকা ব্রোমেলাইন নামক উপাদান জরায়ুর পথকে কোমল করে যা প্রারম্ভিক ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, আনারস খাওয়া গর্ভাবস্থায় ডায়ারিয়ারও কারণ হতে পারে।
আঙুর: গর্ভবতী নারীদের জন্য আঙুর শেষের তিন মাস না খাওয়াই ভালো। এতে থাকা রেসভেরাট্রল নামক যৌগ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। আঙুরে আছে তাপ উৎপাদনকারী উপাদান যা মা ও শিশু ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :