Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন কিভাবে


দৈনিক পরিবার | স্বাস্থ্য ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন কিভাবে

শারীরিকভাবে ফিট থাকার অর্থ কেবল পেশিবহুল শরীর নয়। এর অর্থ রোগমুক্ত থাকা, সতেজ-সবল থাকা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি বা স্থূলতাজাতীয় রোগের ঝুঁকি বাড়ে। না হাঁটলে বা ব্যায়াম না করলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই শারীরিকভাবে সচল থাকতে হবে। কিন্তু কীভাবে সচল থাকবেন বা কী ধরনের ব্যায়াম করবেন।
ব্যায়াম বলতে আমরা বেশির ভাগ বুঝি, নিয়মিত একটু জোরকদমে হাঁটা। কেউ কেউ যোগাসন করে। এর বাইরে কী করলে শরীরের প্রয়োজনীয় ওয়ার্কআউট হয়, তা জানতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিন বলছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী সুস্থ মানুষের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি গতিতে বা ৭৫ মিনিট জোর গতিতে শারীরিক ব্যায়াম করা দরকার। নিয়ম করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করতে হবে পেশির শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম।
শারীরিক ব্যায়াম বলতে হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, স্কিপিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদিকে বোঝায়। তাই সময় বের করে ট্রেডমিলে বা ছাদে হাঁটুন, স্পট জগিং করুন, স্পট স্কিপিং করুন বা স্ট্যাটিক সাইকেল চালান। সাধ্যমতো জোরে হাঁটলে হার্ট ও ফুসফুসের বেশি উপকার হয়। টানা ২০-৩০ মিনিট। টানা না পারলে সকালে ২০ মিনিট ও বিকেলে ২০ মিনিট হাঁটুন। হার্ট-ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কম থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন। হাঁটা বা জগিংয়ের আগে ভালো মানের জুতা পরুন।
স্ট্রেচিং কী
স্ট্রেচিং বিশেষ কিছু নয়, শরীরের প্রতিটি পেশিসন্ধিকে সচল রাখতে এই ব্যায়াম। পা-কোমর-শিরদাঁড়ার স্ট্রেচিং এই সময় খুব কাজে আসবে। ব্যথা-বেদনা বা অস্থিসন্ধি ও পেশির বড় কোনো সমস্যা না থাকলে স্ট্রেচিং করতেই পারেন।
পেশি জোরদার করার ব্যায়াম দুইভাবে করা যায়। বাড়তি ওজন নিয়ে ও শরীরের ওজনকে ব্যবহার করে। এর মধ্যে বিভিন্ন রকম স্কোয়াটিং আছে—যেমন লেগ রাইজিং, প্ল্যাঙ্ক, পুশআপ ইত্যাদি।
ইদানীং কয়েকটি নতুন ধরনের ব্যায়ামের ধারা চালু হয়েছে। সুরের তালে তালে অ্যারোবিকসের সঙ্গে স্ট্রেচিং, ব্যালান্সিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিং ইত্যাদি করা হয়। সে রকমই একটি হলো টাবাটা। বয়স কম হলে, ফিটনেস থাকলে টাবাটা করা যেতে পারে। জুম্বাও ভালো ব্যায়াম। ইয়োগা সব বয়সী মানুষই করতে পারেন। পাশাপাশি বেশির ভাগ সময় সচল থাকার চেষ্টা করুন। এক জায়গায় টানা বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

Side banner