মুক্তিযুদ্ধে সব হারানো দুই বোন রাহেলা ও সালেহার জীবনের আখ্যানে সাজানো হয়েছে ‘নকশীকাঁথার জমিন’। জয়া আহসান অভিনীত সিনেমাটি শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মুক্তি পাচ্ছে দেশের তিনটি মাল্টিপ্লেক্স তথা ৬টি প্রেক্ষাগৃহে। আকরাম খান পরিচালিত সিনেমাটি কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।
প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি চলবে স্টার সিনেপ্লেক্সের চারটি শাখা। সেগুলো হলো বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডি সীমান্ত সম্ভার, মিরপুরের সনি স্কয়ার ও চট্টগ্রামের বালি আর্কেড। এছাড়াও চলবে কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাস এবং নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই সিনেমাটি চলতি বছরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া জয়ার দ্বিতীয় সিনেমা। এতে তিনি রাহেলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, আমরা দেখেছি, বীরমাতারা কীভাবে জীবন যাপন করেন। যুদ্ধের পরেও তারা যে নিষ্পেষিত ছিল, সেটিও আমরা এই সিনেমায় দেখতে পাবো। সিনেমাটি আসলে তাদেরই কথা বলে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, বড়দিনসহ এখন একটা ছুটির আমেজ চলছে। এই সময়ে ‘নকশীকাঁথার জমিন’ মুক্তি পাচ্ছে। এটা খুব ভালো হয়েছে। আশা করি দর্শক সিনেমাটি দেখতে আসবে এবং পছন্দ করবে।
সিনেমায় দুই বোনের চরিত্রে জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেঁওতি অভিনয় করেছেন। দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের ও রওনক হাসান। গুরুত্বপূর্ণ আরও দুই চরিত্রে আছেন দুই ভাই দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি।
নির্মাতা আকরাম খান বলেন, একটা গ্রামের গল্পকে কাব্যিকভাবে এখানে তুলে আনা হয়েছে। যুদ্ধে সব হারানো দুই বোন কীভাবে যুদ্ধ পরবর্তী দেশটাকে দেখে, রাষ্ট্র বা সমাজ নিয়ে চিন্তা করে, সেটাও দেখানো হয়েছে।
দেশে মুক্তির আগেই ‘নকশী কাঁথার জমিন’ গুরে এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন উৎসব। বেশকিছু পুরস্কারও পেয়েছে। তারমধ্যে বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগের পুরস্কারটি অন্যতম।
এছাড়া চলচ্চিত্রটি ৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় (আইএফএফআই) আইসিএফটি-ইউনেসকো গান্ধী মেডেলের জন্য নমিনেশন পেয়েছিলো। পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ১৪তম বুসান পিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ফিচার ফিল্মের পুরস্কার। লন্ডন বাঙালি চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শিত হয়েছে এটি। এমনকি সিনেমাটি রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিগ স্ক্রিন প্রতিযোগিতা বিভাগেও নির্বাচিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :