জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। গেল কয়েক বছর ক্যারিয়ারের বেশ সুসময় পার করছেন তিনি। দেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে যারা নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এই অভিনেত্রী। ‘রেহনুমা মরিয়ম নূর’ সিনেমার কল্যাণে বদলে গেল বাঁধনের গতিপথ। দেশের বাইরেও কাজ করেছেন তিনি। কলকাতা ও হলিউডের সিনেমায় দর্শকের কাছে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের বাইরে এ অভিনেত্রী একজন সিঙ্গেল মাদার। তবে এখন জীবনসঙ্গী খুঁজছেন বলে জানান তিনি। এক-দেড় বছর ধরে জীবনসঙ্গীর কথা চিন্তা করছেন অভিনেত্রী। কেমন জীবনসঙ্গী চান, সেটিও সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি।
বাঁধন বলেন, জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো গ্রহণ করাটা খুব জরুরি। আর এটা আমাদের সমাজে তো খুবই দুর্লভ। এ রকম না যে, আশপাশে অজস্র খুঁজে পেয়েছি।
হঠাৎ বিয়ের পরিকল্পনা সামনে আনার কোনো বিশেষ কারণ আছে কি? এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ কোনো কারণ নেই। ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো। এ ৪০ বছরে আমি অন্য রকম একটা জীবন লাভ করছি। তাই এই নতুন জীবনে মনে হয়েছে, একজন সঙ্গী থাকতেই পারে। সঙ্গী ছাড়া তো মানুষ থাকতে পারে না। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট। আমার জীবনে কখনও ওই রকম কিছু হয়নি যে পথচলায় সত্যিকারের একজন সঙ্গী পেয়েছি কখনও। সব সময় হয় একজন দানব পেয়েছি, না হলে যে আমাকে অত্যাচার করছে, এ রকম মানুষ পেয়েছি। আমাকে অ্যাবিউজ করছে, এ রকম মানুষই পেয়েছি। আমার জীবনে যারা আসছে, সবাই বাধা হিসেবেই আসছে।
বাঁধন আরও বলেন, আমার চলার পথটাকে মসৃণ করতে আসেনি কেউ। তাই আমার জীবনে যারা বাধা হবে, তারা তো আমার জীবনে থাকতে পারবে না। এটা সম্ভবও না। তাই ওই অর্থে আমি কোনো জীবনসঙ্গী পাইনি, এটা সত্যি। সব মিলিয়ে এখন মনে হয়েছে, পথচলার একজন সঙ্গী হতেই পারে।
প্রসঙ্গত, লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজ দুনিয়ায় পা রাখেন বাঁধন। অভিনয় ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বহু নাটক ও টেলিফিল্ম উপহার দিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নাম লেখান চলচ্চিত্রে। অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় আছে বাঁধনের ছবি ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। এটি নির্মাণ করেছেন সানী সানোয়ার। এতে বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন পূজা এগনেজ ক্রুজ। মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ, এজাজ আহমেদ, মাজনুন মিজান, আনিসুল হক বরুণ, সুষমা সরকার, দীপু ঈমাম।
আপনার মতামত লিখুন :