বাংলাদেশর কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। এ ছাড়া একাধারে তিনি নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা ও গল্পকার হিসেবেও ছিলেন সমাদৃত। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন কোটি দর্শকের ভালোবাসা আর পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
গুণী এই অভিনেতা ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। আজ অভিনয়ের এই জাদুকরের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এবার তিনি পা রাখতেন ৮৩ বছরে। ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান।
গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি। ঢাকায় দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে থাকতেন এই অভিনেতা। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তার বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল, তিনি শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।
চলচ্চিত্রে এ টি এম শামসুজ্জামানের সম্পৃক্ততা ঘটে উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশকন্যা’ সিনেমাতে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন এ টি এম। এরপর কৌতুকাভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন।
১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন।
তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে-লাঠিয়াল, নয়নমণি, গোলাপী এখন ট্রেনে, অশিক্ষিত, সূর্যদীঘল বাড়ি, ছুটির ঘণ্টা, লাল কাজল, পুরস্কার, দায়ী কে?, দোলনা, পদ্মা মেঘনা যমুনা, অজান্তে, স্বপ্নের নায়ক, চুড়িওয়ালা, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, শাস্তি, মোল্লাবাড়ির বউ, হাজার বছর ধরে, চাঁদের মতো বউ, মন বসে না পড়ার টেবিলে, এবাদত, পরান যায় জ্বলিয়ারে, কুসুম কুসুম প্রেম, গেরিলা, লাল টিপ, চোরাবালি, পাংকু জামাই।
পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন কোটি দর্শকের ভালোবাসা আর পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
আপনার মতামত লিখুন :