গোলাম মুস্তাফা ও এ টি এম শামসুজ্জমান দুজনেই অভিনয় জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। সমৃদ্ধ করেছেন দেশের চলচ্চিত্র, টিভিনাটক ও মঞ্চ। একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে গেছেন দুজন। গোলাম মুস্তাফা চলে গেছেন ২২ বছর আগে ২০০৩ সালে, এটিএম প্রয়াত হয়েছেন চার বছর আগে ২০২১ সালে।
গোলাম মুস্তাফার জন্ম ও বেড়ে ওঠা বরিশালে। স্কুল-কলেজে পড়াকালেই অভিনয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মে। জেলা শহরের টাউনহলে প্রথম মঞ্চে অভিনয়। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে আসেন ঢাকায়।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি নাটকে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও হয়ে ওঠেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বাংলা ও উর্দু মিলে প্রায় তিন শ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও সুনাম ছিল তাঁর। অভিনয়ের জন্য তিনবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। মৃত্যুর দুই বছর আগে ২০০১ সালে পেয়েছিলেন একুশে পদক।
এ টি এম শামসুজ্জামানের জন্ম নোয়াখালীতে। বেড়ে ওঠা লক্ষ্মীপুরে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকায়।
১৯৬৫ সালে ‘নয়া জিন্দগানি’ ছবিতে প্রথম অভিনয়। তবে ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘এতটুকু আশা’ ছবিতে ছোট্ট চরিত্রে দেখা গেলেও পরে চিত্রনাট্যকার হিসেবেই কাজ করেছেন বেশি। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’তে খল চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয় হন।
এরপর অভিনয়ে বর্ণিল এক ক্যারিয়ার পার করেছেন তিনি। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘রামের সুমতি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’সহ অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০১৫ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। আজীবন সম্মাননা ছাড়াও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার।
আপনার মতামত লিখুন :