গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ২য় ক্যাম্পাসে হল খোলার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডুয়েট ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক জনাব উৎপল কুমার দাসের সাথে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে হল বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন।
বৈঠকে শিক্ষার্থীরা জানতে চান যে, ২য় ক্যাম্পাসে হল খোলার অগ্রগতি সম্পর্কে। উত্তরে উৎপল কুমার দাস জানান, “ডুয়েট ২য় ক্যাম্পাসে হল খোলার ব্যাপারে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে ডুয়েট প্রশাসন অত্যন্ত আগ্রহের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান যে, হলের জন্য প্রাথমিকভাবে অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের জন্য টেন্ডারের আহ্বান করা হয়েছে এবং টেন্ডার বরাদ্দের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে আপাতত নতুন ক্যাম্পাসে ম্যান-পাওয়ার সংকট থাকতে পারে, যার সমাধানে বাকি হলগুলো থেকে কর্মচারী বণ্টন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেন, “এতদিনেও কেন হল প্রার্থী শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি?” উত্তরে উৎপল কুমার দাস জানান, “তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে এবং আগামী ১০ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।” নতুন হলে প্রায় ৩২০টি আসন বরাদ্দ হবে এবং বড় ডিপার্টমেন্টগুলো থেকে প্রায় ৫৬ জন শিক্ষার্থী সিট পাবেন।
ডুয়েটের নতুন উপাচার্য মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসে হল চালু করা হবে।
ডুয়েটের হল সীমাবদ্ধতা একটি জটিল সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। এর ফলে তাদের পড়াশোনা, ক্লাস করা, এবং ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, পাশাপাশি নিরাপত্তার ঝুঁকিতেও পড়তে হয়।
বিশেষত হল বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নতুন ক্যাম্পাসে হল খোলার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের মতে, এই হল সীমাবদ্ধতা তাদের শিক্ষাজীবনকে বেশ বাধাগ্রস্ত করছে। তবে নতুন ভিসির আশ্বাসে তারা কিছুটা আশাবাদী হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :