Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১

নতুন বছরে ইবির শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা


দৈনিক পরিবার | ফারহানা ইয়াসমিন জানুয়ারি ১, ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম নতুন বছরে ইবির শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আড়ম্বরতার অভাব নেই। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই যেন প্রতিটি মানুষ তাদের পুরো বছরের ভালো মন্দের হিসেব-নিকেশ শুরু করে। অতীতের মন্দ বিষয়গুলো যেন নতুন বছরে প্রভাব না ফেলে সেই প্রত্যাশাই করে সকলে। নতুন বছরের জন্য সুষ্ঠ পরিকল্পনা করে। নতুন বছর নিয়ে আসে নতুন আশা, প্রত্যাশা, স্বপ্ন।
২০২৪ সালটি আমাদের দেশের এক ইতিহাসের সাক্ষী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশের মানুষের সংঘবদ্ধতা আমাদের জাতীয় ঐক্যের পরিচায়ক। দেশের স্বার্থে কতোজন প্রাণ দিয়েছে এই ২৪ এই। ২৪ আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে শেখায়, শেখায় 'জননী জন্মভুমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী- জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ'। 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের মাধ্যমেই পরিবর্তন এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনেও। এই পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তনের প্রত্যাশা জন্মেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীই স্বপ্ন দেখে। পুরোনো বছরের সব খারাপ কে পিছে ফেলে নতুন বছরে সেশনজট নিরসন সহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব, গবেষণানির্ভর, পরিচ্ছন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যাশা সকল শিক্ষার্থীর। 
নতুন এই বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের প্রত্যাশা জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

নতুন বছর, নতুন আকাঙ্খা, নতুন আশা! 
প্রতি বছরই ক্যালেন্ডারের পাতা ফুরিয়ে নতুন আরেকটি বছর চলে আসে, আর সাথে নতুন কিছু স্বপ্ন ডানা মেলে। তবে এবার যেহেতু প্রসংঙ্গ নতুন বাংলাদেশ তাই আমাদের প্রত্যাশা গুলো নিয়ে আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটু বেশিই আশাবাদী।
একজন পরিবেশ সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার প্রথম এবং প্রধান প্রত্যাশা 'ক্লিন ক্যাম্পাস'।
আমাদের যথেষ্ট সুন্দর এবং পরিপাটি ক্যাম্পাসটা খুবই অপরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে আমাদের অবহেলায়, অসচেতনতায়। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে পরিষ্কার করা হয় ঠিকই তবে সেটা রক্ষণাবেক্ষণে আবারও সেই একই উদাসীনতা!শুধু মাত্র প্রশাসন নয় বরং সকল শিক্ষার্থী এবং ক্যাম্পাসের সব শ্রেনীপেশার মানুষের সদিচ্ছাই যথেষ্ট আমার ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন রাখতে। সবাইকে সচেতন করতে জিরো টলারেন্স নীতির প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রয়োজন বোধে শাস্তি সরূপ জরিমানার বদলে অপরাধীদের দ্বারা ক্যাম্পাসের একাংশ পরিষ্কার করানো যেতে পারে। সচেতনতামূলক পোস্টার, ফেস্টুনও বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। সুতরাং আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে এই সবুজ শ্যামল শান্তির নীড় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে পানি দুষণ, বায়ু দূষণ, আলোক দূষণ, শব্দ দূষণ সর্বোপরি পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখার জন্য। 
নুসরাত জাহান মাইশা
ব্যবস্থাপনা বিভাগ

পরিবর্তনের ধারায় বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত হোক
নতুন বছরের নতুন সকালে আমাদের অপ্রাপ্তিগুলো পূর্ণতা পাবে, সেই স্বপ্নের প্রত্যাশা আমাদের সবার। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতনের পর যেনো এই প্রত্যাশা দিগুণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক সুন্দর সেতুবন্ধন। তাই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নতুন বছরে চাই শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস তৈরি হবে প্রত্যক শিক্ষার্থীর স্বপ্নকে ঘিরে। যেখানে থাকবে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণা, অধিকার, বাক-স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ইত্যাদি। থাকবে না কোনো অসুস্থ রাজনীতি, হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ, শোষণ-নিপীড়ন ও ধর্মীয় সংঘাত।
মংক্যচিং মারমা
আইন বিভাগ 


হেথাও তো পর্শে সূর্যকর!
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বরাবরই বাংলাদেশের মানুষের জানার পরিসীমার স্বল্পতা দেখেছি। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর খ্যাতি এবং সুনাম আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম হওয়ার কথা নয়। এই অবস্থার কারণ দর্শাতে গেলে কেবল আঙুল ওঠে–একটা প্রশাসনের দিকে, একটা শিক্ষার্থীদের দিকে, একটা অবস্থিত অঞ্চলের অনুন্নতির দিকে। এত আঙুলের ভীড়ে সবাই কেবল অজুহাত দেখিয়েই পালিয়ে গেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত যশ আর অর্জিত হয় নি। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বরং অধঃপতনের দিকেই এগিয়ে চলেছি আমরা। বিশ্ব জ্ঞানের বিদ্যা চর্চার ইবিতে কেবল চলছে আজগুবি সব নিয়মের মেলা। প্রশাসন যেমন উন্নতির স্ট্যান্ড পয়েন্ট থেকে দিগ্ভ্রষ্ট হয়েছেন, শিক্ষার্থীরাও তেমনই যুক্ত করেছেন অপ্রাসঙ্গিক সব প্যারামিটার। আমরা সকলেই ভুলে যেতে বসেছি আমরা এসেছি জ্ঞান চর্চা, গবেষণা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং এলামনাই পাকাপোক্ত করতে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অধ্যয়নরত একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন নিজের সাফল্যের মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানের সুনাম শুনতে চাওয়া। মানুষ চাইলেই অসম্ভবকে অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সম্ভব করতে পারে। জীবনযুদ্ধে এই অধ্যাবসায়ের খোরাক জোগাবে বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু ইবি নিজেকে প্রাচীন বাংলার সমাজ বানিয়ে রেখেছে। তথাকথিত সেফটি এবং ভদ্রতার তলে ঢাকা পড়ে গিয়েছে হাজারো লাল-হাত। নতুন বছরের কামনা এই, ইবি তার জঞ্জাল পুড়িয়ে খাঁটি হয়ে উঠুক। এর জং-ধরা সব শক্তি শাণিত হোক, নতুন উদ্দীপনায় নতুনত্বকে বরণ করে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হোক। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই বিদ্যাপীঠের সকলেই যেন তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে–ইবি হয়ে উঠুক সেই পরশ পাথর। প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের তমগুণ দূর হোক, তমসা কেটে যাক, আলো আসুক।
জিন্নাত মালিয়াত সীমা
ফোকলোর স্ট্যাডিজ

পরিকল্পনা হোক প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্নের ইবি তৈরির
নতুন বছরে কি কি পরবর্তন আনা উচিৎ তার একটা সুগঠিত পরিকল্পনা করে রাখা আমাদের সকলেরই উচিৎ। এতে সেই পরিকল্পনার কিছু পরিপূর্ণ হয়, কিছু ম্লান রয়ে যায় যা আমাদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে।
আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রত্যাশা রাখি যেন আমি এবং আমরা কিভাবে ভালো মানুষ হতে হয়, সেই শিক্ষা এখান থেকে অর্জন করতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অভয়ে তার মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ক্যাম্পাসের প্রশাসনকে দায়িত্ব নিয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিনের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সকলকে সতর্ক করা প্রয়োজন। প্রত্যাশা থাকবে যেন চিরাচরিত সেই পুরানো পদ্ধতির পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজ ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ভর্তি, ফর্ম ফিল আপ, পেমেন্ট, মার্কশীট উত্তোলন ইত্যাদি কাজে হয়রানি কমানোর ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষা ও মূল্যায়নে স্বচ্ছতা, সময়মতো ফলাফল প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের মতামত ও নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এবং চাকরির সুযোগ সংক্রান্ত তথ্য, দক্ষতা অর্জন, গবেষণার জন্য অর্থায়ন এবং উৎসাহ বাড়ানো উচিত।
সজল রায় 
ফাইন আর্টস বিভাগ

আফসোস নয়, অহংকারের ইবির প্রত্যাশা
স্বাধীন দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের স্বপ্নের ১৭৫ একরের' ইবি'। হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের স্থান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একজন শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা কখনোই শেষ হওয়ার নয়; তবুও নতুন বছরে ইবি কে ঘিরে রয়েছে কিছু নতুন কিছু পুরনো প্রত্যাশা। তন্মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মানোন্নয়ন, বিভাগীয় ল্যাবের মানোন্নয়ন, মেডিকেল সিস্টেমের উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম এর মধ্যে ব্যাংকিং লেনদেন এর উন্নতি সাধন অন্যতম। ইবিয়ান হিসেবে আমার প্রত্যাশা স্বপ্নের ইবি যেন কারো আফসোস এর ইবি না হয়। আমার ইবি নিজেকে গড়ে তুলুক অন্যতম শিক্ষাঙ্গন হিসেবে।
জুলিয়া আক্তার 
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ

প্রযুক্তিনির্ভর, গবেষণানির্ভরের পাশাপাশি ক্যারিয়ার উন্নয়নে সহায়ক প্রতিষ্ঠান হোক ইবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে, আমি নতুন বছরে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাশা করি, যেখানে শিক্ষার মান উন্নয়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত পাঠ্যক্রম, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণ অত্যন্ত জরুরি। বিশেষত গবেষণাগারে আধুনিক সরঞ্জামের সংযোজন এবং লাইব্রেরিকে আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্স সমৃদ্ধ করা আমাদের জ্ঞানার্জন ও গবেষণায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, হলে উন্নত সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারকে আরও বিস্তৃত করা সময়ের দাবি। দীর্ঘদিন ধরে চলমান সেশনজট শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের দ্রুত এবং কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সহায়তার জন্য ক্যারিয়ার গাইডেন্স প্রোগ্রাম চালু করা উচিত। ইন্টার্নশিপের সুযোগ, শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্টনারশিপ এবং ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। 
সবশেষে, একটি প্রযুক্তিনির্ভর, উদার এবং সহায়ক শিক্ষার পরিবেশ প্রত্যাশা করি। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সর্বোচ্চ সুযোগ পাবে এবং একটি সমৃদ্ধ শিক্ষাজীবন উপভোগ করতে পারবে।
এস.এম. শাহরীয়ার স্বাধীন 
বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

সহিংসতা ও বিভেদমুক্ত ক্যাম্পাসের প্রত্যাশা
প্রত্যেক নতুন বছর শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন স্বপ্ন, আশা এবং লক্ষ্য নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আশা-প্রত্যাশা শুধু ব্যক্তিগত উন্নতিতেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তারা নিজেদের শিক্ষাজীবন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে চায়। একটি মানসম্মত একাডেমিক পরিবেশ, যেখানে সেশনজট, ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়মিত পরিচালনা, এবং শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব প্রতিটি শিক্ষার্থীর চাওয়া। এছাড়াও বর্তমান আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করা সময়ের দাবি। উন্নত গবেষণাগার, পর্যাপ্ত তহবিল এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা উচিৎ। আবাসিক হলগুলোতে সিট সংকট, পানির অভাব এবং ডাইনিং এর খাবার মান উন্নত করে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলো আরও আধুনিকীকরণ করা। ক্লাসরুমে প্রজেক্টর, উচ্চগতির ইন্টারনেট, এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি সেবাসহ হলকার্ড, লাইব্রেরীকার্ড এবং মেডিকেলকার্ড সহ সকল আইডেন্টিটি একত্রে স্মার্টকার্ড হিসেবে প্রদান করা এবং একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ডিবেটিং ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, আরবি ভাষা ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ প্রশিক্ষণ সেন্টারের ব্যবস্থা করা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এবং প্লেসমেন্ট সেবার ব্যবস্থা আরও উন্নত করবে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি দীর্ঘদিনের। শিক্ষার্থীরা চায় এমন একটি ক্যাম্পাস যেখানে তারা নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের একান্ত কামনা একটি দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস। তারা চায়, রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিভেদমুক্ত একটি পরিবেশ যেখানে তারা মানসিক চাপ ছাড়াই পড়াশোনা করতে পারবে। 
মাশুক এলাহী 
দাওয়াহ এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ

Side banner