Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য শেখ সাদী ভূঁঞার স্মরণ সভা


দৈনিক পরিবার | মো. ইসমাইল হোসেন ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৫:২২ পিএম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য শেখ সাদী ভূঁঞার স্মরণ সভা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক শেখ সাদী ভূঁঞার স্মরণ সভা বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় চারুকলা স্কুলের আঙিনায় অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।
এ সময় তিনি বলেন, খুলনা আর্ট কলেজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মীকৃত করা এবং চারুকলা ইনস্টিউট তথা চারুকলা স্কুল প্রতিষ্ঠায় যে কয়েকজন শিক্ষকের অবদান অগ্রগণ্য তাঁর মধ্যে অন্যতম শেখ সাদী ভূঁঞা। তাঁর স্মৃতিগুলো সবসময় চোখের সামনে ভাসে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরিশ্রমী। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলের কাছেই তিনি ছিলেন শ্রদ্ধাভাজন। অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করা এই শিক্ষক ছিলেন নিরংহকারী ও পরোপকারী। জীবদ্দশায় তিনি যে শিল্পকর্মগুলো করেছেন, তাঁর মাধ্যমে তিনি চিরকাল মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। তাঁর এই শিল্পকর্মগুলো আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী। তিনি বলেন, শেখ সাদী ভূঁঞা ছিলেন অত্যন্ত সহজ-সরল একজন মানুষ। শিক্ষার্থী ও সহর্কর্মীদের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতি সবসময় অম্লান থাকবে। তাঁর অকাল প্রয়াণে যে শূন্যতার সৃষ্টি তা অপূরণীয়। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেও তাঁদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন চারুকলা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম। সভাপতিত্ব করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান মোঃ আমিনূল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা করেন প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ, ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন প্রধান রকিব হাসান। আরও বক্তৃতা করেন ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক শান্তনু মন্ডল, ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ তরিকত ইসলাম, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুজন সেন, ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহবুব-ই-খুদা ও ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সাকিবুজ্জামান সাজিদ।
বক্তারা বলেন, শেখ সাদী ভূঁঞা সবসময় শিল্পকর্ম নিয়ে ভেবেছেন। তাঁর মননে ছিল চারুকলা স্কুলকে বিকশিত করা। ভাস্কর্যের মাধ্যমে তিনি তাঁর সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করেছেন। তিনি কখনও আত্মকেন্দ্রিক ছিলেন না। শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তিনি শিশুদের খুব ভালবাসতেন। নিজ এলাকায় গেলে শিশুরা তাঁর কাছে ছুটতে আসতো। তাঁর মতো একজন গুণী শিল্পীকে হারিয়ে শিল্পাঙ্গণে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই তাঁর শিল্পকর্মকে সংরক্ষণের মাধ্যমে আমাদের আন্তরিক হতে হবে। নতুন প্রজন্মের মাঝে তাঁর চিন্তা-চেতনা ও সৃজনশীলতাকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ সাদী ভূঁঞার কর্মময় জীবনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এ সময় প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ চারুকলা স্কুলভুক্ত ডিসিপ্লিনসমূহের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং খুলনা আর্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

Side banner