বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল ও এগিয়ে নিতে লটারির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টা থেকে আসতে শুরু করেন ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। ফলে প্রায় আড়াই শতাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ফলাফল এর জন্য। অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ একে একে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
লটারির আগে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভায় সোনাতলা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের চলতি দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ নজমুল ইসলাম।
অফিস সুত্রে জানা যায়, শুধু ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ক,খ,গ শাখায় ১'শ ৬৫ জনের বিপরীতে ২'শ ৬২টি ভর্তির জন্য আবেদন জমা দেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। আলোচনা শেষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ২৬২টি নাম্বার যুক্ত আবেদনের কুপন রাখা হয় একটি ঢোলে। এরপর প্রথম একটি কুপন তোলেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ নজমুল ইসলাম। দ্বিতীয় কুপনটি উত্তোলন করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান আব্দুল হাই। এরপর ধীরে ধীরে ঢোল থেকে কুপন উত্তোলন করেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। উত্তোলন কৃত লটারির ফলাফল ঘোষণা করার সময়ে বিজয়ী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
প্রধান অতিথি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ নজমুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের সামনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির উদ্ভোধন করা হলো।
ওই প্রতিষ্ঠানের চলতি দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, সুশৃংখল পরিবেশে লটারির আয়োজন ও ফলাফলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সহযোগিতা করেছেন। লটারিতে বিজয়ী শিক্ষার্থী শ্রাবণী রানী ও তার অভিভাবক উদয় শীল, শিক্ষার্থী ইশিতা, ফারজানা আক্তার, সুলতানা ও তার অভিভাবকরা জানান লটারিতে নাম উঠায় খুব ভালো লাগছে। তবে বিষন্নতার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে লটারিতে নাম না উঠা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।
আপনার মতামত লিখুন :