Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের চাকরি গেলো


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের চাকরি গেলো

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামকে বরখাস্ত করেছে শিক্ষা বোর্ড। ওই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার কারণে তাকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আজাদ হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে, একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও কু-প্রস্তাবের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ বরাবর।
বরখাস্ত হওয়ার চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) কাজী জহুরুলের বিরুদ্ধে আনীত ‘সহকারী শিক্ষিকাকে অনৈতিক প্রস্তাব, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও যৌন হয়রানির’ অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। 
এমতাবস্থায়, বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির ১০/১২/২০২৪ তারিখের সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ এবং অভিযোগসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণপূর্বক ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয় এবং ১৯/১২/২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ২৩৩তম বোর্ড সভায় বর্ণিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) কাজী জহুরুলের চূড়ান্ত বরখাস্তকরণের বিষয়টি অনুমোদন লাভ করে।
অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল একজন দুর্নীতিগ্রস্ত, চরিত্রহীন মানুষ ছিলেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের প্রতি খারাপ নজর দিতেন। বারবার তাকে সংশোধনের জন্য বলা হলেও তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড করতেন। পরে বাধ্য হয়ে একজন শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছিলেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুলকে বরখাস্তের বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের চিঠি পেয়েছি। এর ফলে তিনি ওই বিদ্যালয়ে আর প্রধান শিক্ষক হিসেবে নেই। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পরবর্তীতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করবেন।

Side banner