রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দফায় দফায় আন্দোলন ওপেন ডিবেট করা হলেও হয়নি পোষ্য কোটার সমাধান। সেই সুত্র ধরে আবার রক্ত সংহতি ও মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের 'বাপের কোটা বাতিল চাই', 'পোষ্যকোটা বাতিল চাই', 'দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত' 'আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ' সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কামরুল সজীব বলেন, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ডেকেছি আপনারা আসেননি। যদি কোনো যুক্তি তর্কে মনে হয় চলমান পোষ্য কোটা যৌক্তিক মনে হয় তাহলে আপনারা আসেন বসেন। ঘরে বসে থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে মাধ্যমে ভিসি স্যার থেকে প্রো-ভিসি স্যার পর্যন্ত বার বার আপনারা লিখেছেন পোষ্য কোটা মূল্যহীন, পোষ্য কোটার প্রয়োজন নেই। আমরা চাই না পোষ্য কোটা চলুক। তাহলে আপনারা কেন পোষ্য কোটাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং সমস্ত বাংলাদেশ থেকে কেন উচ্ছেদ করছেন না?"
আন্দোলনে উপস্থিত অর্থনীতি বিভাগের আরএক শিক্ষার্থী বলেন, "৫ আগস্টের পর আবারো এই পোষ্যকোটা বাতিলের জন্য আন্দোলনে নামতে হবে এটা কখনো ভাবিনি। ১৪ তারিখে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছি, অনশনের প্রায় দুই ঘণ্টা পার হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আস্বস্ত করেন যে খুব দ্রুত এই ব্যাপারে ফলাফল জানাবেন। কিন্তু তাদের থেকে কোনো ভালো ফলাফল আমরা পাইনি।"
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, "প্রশাসনিক ভবনের সামনে কয়েকজন অনশনে বসেছি। রাবির প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে পোষ্য কোটা নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিবেন। দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, এতদিন চলে গেলেও, উপাচার্য মহোদয় এই নিয়ে পর্যাপ্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টা নিয়ে গড়িমসি শুরু করেছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আগামীতে যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে, সেখানে যদি কোনো পোষ্য কোটা থাকে, তাহলে আমরা যেমন বিগত সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম, তখনও পিছুপা হবো না।"
উল্লেখ্য, রক্ত সংহতিতে রক্ত দিয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :