রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ৪৭ বছর ধরে চলে আসা পোষ্য কোটাকে 'রেড কার্ড' দেখাল সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর, ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে পোষ্য কোটাকে বাতিলের দাবিতে লাল কার্ড হাতে অবস্থান নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জি কে এম মেশকাত মিশু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০। সে পাশ নম্বরের অর্ধেকের ও কম ১৯.৫০ নম্বর পেয়েও তাকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় ৩.৭০ নাম্বার দেওয়া হচ্ছে তাহলে আমরা এটাকে পোষ্য কোটা বলতে রাজি না। এটা হচ্ছে কিছু অযোগ্য মানুষদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানানোর মেশিন সে মেশিনটাকে আমরা বিলুপ্ত করতে চাই। পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে যেকোনো নেগোসিয়েশনে যেতে আমরা রাজি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা যেখানে যেখানে পোষ্য কোটা আছে আমাদের দুইটাই অপশন ১ম অপশন পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল এবং ২য় অপশন ও হচ্ছে পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, পোষ্যকোটা বৈষম্যের প্রতীক। এটি মেধাবীদের সুযোগ কমিয়ে দেয়। আমরা সারা দেশের পোষ্যকোটা বাতিলের দাবি জানাই।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পোষ্য কোটা ৪ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করেছে রাবি প্রশাসন। তাতেও নারাজ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বিভিন্ন অনিয়মসহ পুরো কোটা ব্যবস্থাই বাতিল চান তারা। অন্যদিকে নিজেদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অতিরিক্ত সুযোগটি হাতছাড়া করতে নারাজ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :