দুর্গন্ধে যাওয়া যায়না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) টুকিটাকি চত্ত্বরে। শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের পিছনে টুকিটাকি চত্বরের সামনে অবস্থিত পাবলিক টয়লেটের বেহাল অবস্থার কথা।
বিগত কয়েক সপ্তাহ যাবত চলমান এই পাবলিক টয়লেটের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা। দুর্গন্ধ উপেক্ষা করে নাক চিপটানোর পর ক্লাসের বিরতিতে খাবার খেতে যেতে হচ্ছে টুকিটাকিতে। শুধু তাই নয়, শহীদুল্লাহ্ ভবনের নিচ তলায় নামাজে যেতেও দুর্গন্ধ নাকে ভেসে আসে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কলা ভবনের পাশের পাবলিক টয়লেটগুলো নোংরা, দুর্গন্ধ ও অপরিষ্কার। তাতে নেই কোনো প্রয়োজনীয় হাত ধোয়ার সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, টিস্যু ও কোন টিস্যু রাখার পাত্র। যেখানে সেখানে টিস্যু রাখার ফলে টয়লেটে পানি জমে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের (২৩-২৪) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু তাহের বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে নাকে রুমাল নিয়ে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করছে। বাহির থেকে দিব্বি মনে হবে এ যেন পাঠক নয়, কোনো বর যাচ্ছে লাইব্রেরিতে। বাহির থেকে শিক্ষা সফরে এসে বিরূপ মন্তব্য করে। যা রাবির জন্য কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, অনতিবিলম্বে এই পাবলিক টয়লেট পরিষ্কারের জন্য রাবি প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম বলেন, শহিদুল্লাহ ভবনের পাশের পাবলিক টয়লেট থেকে অত্যন্ত গন্ধ আসে। নামাজে যেতে এবং ক্লাসে যাওয়ার সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম পরিবেশ মোটেও কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ আশা করি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বংলা বিভাগের (২০২৩-২৪) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গন্ধের কারণে টুকিটাকিতে খেতে গেলে বমি আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষকে এই বিষয়ে লক্ষ্য করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান, এখনো বিল্ডিংয়ের বা কোন বিভাগ থেকে প্রক্টর অফিসে কোন চিঠি আসেনি। যদি আসে আমরা সে বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নিব।
আপনার মতামত লিখুন :