শিক্ষার্থীদের মনে যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে তা হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ বহু বছর পর ঢাবির ডাকসু নির্বাচনের যে খারাপ অভিজ্ঞতা তা গোটা জাতির মনে গেঁথে আছে। সেখানে ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের দায়হীন আচরণগুলো সবারই জানা এবং সর্বোপরি নিয়মিত নির্বাচন আর হয়নি।
অপরদিকে রাবিতে বারংবার আশ্বাস দিয়েও নির্বাচন না করার যে পূর্ব অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের রয়েছে তা থেকেই মূলত রাকসু হবে কি-না এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মন-মগজে। এছাড়াও নির্বাচন ঘিরে নানান নৈরাজ্য সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টা মাথায় রেখে এগোতে হবে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, রাকসু নির্বাচন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথেষ্ঠ সদিচ্ছা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী কারণ শিক্ষার্থীদের সকলেই এ বিষয়ে সচেতন। রাকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না এটা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা। পাশাপাশি আমাদের গঠনতন্ত্র একটি বড় সংকট, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যতম সংকট ও চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
নির্বাচন নিয়ে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাকসু নির্বাচন অপরিহার্য। যদিও দীর্ঘ প্রক্রিয়া, আমরা একটা পজিটিভ চিন্তা নিয়েই এগোচ্ছি। তবে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা জরুরি। গঠনতন্ত্র সংস্কার, নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ এবং সহিংসতা এড়ানোর কৌশলসহ প্রশাসন শক্ত হাতে দায়িত্ব নিয়েছে।
এ বিষয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন থেকে যেসব পরামর্শ এসেছে সেগুলোর আলোকে কিভাবে রাকসু নির্বাচন সাজানো যায় সেটার কাজ চলছে। পাশাপাশি অর্ডিনেন্সের সংস্কার কাজও চলমান রয়েছে।
নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট ও সম্ভাবনার ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, নানা সংকট ও সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্যই এটা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চাই।
আপনার মতামত লিখুন :