লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চক্রান্তমূলক পদক্ষেপ ও অপমানজনক আচরণের প্রতিবাদে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মোসলেম উদ্দিন অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক এবং ভাইস প্রিন্সিপালের মিথ্যা প্ররোচনা ও চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তিনি। তাকে বেআইনীভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং পরিবারের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
অভিযোগের বিবরণে মোসলেম উদ্দিন বলেন, কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিবর্গ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে তাকে মিথ্যা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এর পেছনে গভর্নিং বডির একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত উল্লেখ থাকলেও তিনি দাবি করেন, এ সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
ইতোপুর্বে অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে ছিলো ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদ্রাসার সম্পদের আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের হয়রানি করে টাকা আদায় এবং সহকর্মীদের নিকট থেকে টাকা গ্রহণ।
তবে মোসলেম উদ্দিন এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন এবং বলেন, তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের কোনো প্রমাণ বা নথি নেই।
অপমান ও নির্যাতনের প্রসঙ্গে মোসলেম উদ্দিন জানান, ৭ নভেম্বর ২০২৪ সালে তার পরিবারসহ মাদ্রাসায় বেতন নিতে গেলে, সেখানে তাকে অপমানজনক আচরণ সহ্য করতে হয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মিথ্যা বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে জমায়েত করা হয় এবং তাকে ও তার পরিবারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা পাননি। বাধ্য হয়ে শেষমেশ তিনি এবং তার পরিবার আইন পরিপন্থী বহিস্কার পত্রে অনিচ্ছায় সহি করে দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্ত্রী সন্তান কে নিয়ে চলে যান।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, যদি তিনি কোনো অনিয়ম করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে দেশের আইন ও বিচার বিভাগ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে। এভাবে অন্যায় জুলুম করে তার স্ত্রী ও মেয়েকে অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হলো এটা কোন ধরনের মানবিকতা ও কেমন দেশের আইনী অবস্থা।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে মিথ্যা প্ররোচনার মাধ্যমে ব্যবহার করে নিরপরাধ মানুষদের অপমান ও পদচ্যুতির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থনা করে বলেন, যদি তিনি কোনো অন্যায় করে থাকেন, তবে আল্লাহ যেন তার বিচার করেন। পাশাপাশি, যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অত্যাচার যারা চালিয়েছেন, তাদেরও আল্লাহর নিকট বিচার কামনা করেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :