ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত আইন বিভাগের এলএলএম ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২৩৭ নং কক্ষে এই বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. নুরুন্নাহার, অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন, ড. মাকসুদা আক্তার মুনিয়া, অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. আরমিন খাতুন এবং বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার কবীর রিমন ও ফারহা শারমিন বিন্দু।
এসময় বিদায়ী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি রোমন্থন ও অনুজদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। বিদায়ী এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ থেকে কয়েকবছর আগে বাবা মায়ের হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম। আসতে আসতে সিনিয়র হয়েছি, তারপর একটা সময় আমাদের বিদায়ের সময় হাজির হয়েছে। আর কখনো আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে ক্লাসের নোটিশ আসবে না, দুপুর ২ টার পরের ক্লাস নিয়ে কেও শোরগোল করবে না, এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে আর চাপে থাকবো না। এই বিভাগ শুধু আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়নি, একজন প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে। আমরা আজীবন এই বিভাগের কাছে ঋণী।
বিদায়ী সম্ভাষণে বিভাগের শিক্ষকরা বলেন, এটা বিদায় নয়। এটা শুধু জায়গার পরিবর্তন, স্থানের পরিবর্তন ও দায়িত্বের পরিবর্তন। আমাদের শিক্ষার্থীরা কখনো সাবেক হয়না, তারা সবসময়ই আমাদের শিক্ষার্থী ই রয়ে যায়। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তোমাদের সঠিক শিক্ষাটা দিতে, জীবনে চলার পথকে সহজ করে দিতে৷ যেসব কারণে তোমরা সময়মতো বের হতে পারোনি তার দায়ভার সম্পূর্ণ আমাদের। তোমরা সবসময়ই আমাদের হৃদয়ে জাগ্রত থাকবে।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমি বিশ্বাস করি শিক্ষকদের কাছ থেকে আহরিত জ্ঞান একাডেমিক, রিসার্চে এবং অন্যান্য জায়গায় বাস্তবায়নের জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেছো। এখন সময় এসেছে যা আহরণ করেছো সেই জ্ঞান জাতীয়ভাবে বিতরণের। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ অতীত হয়ে যাবে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও অতীত হয়ে যাবে কিন্তু বাংলাদেশ আর অতীত হবে না। আর তোমার পরিচয় হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তোমাদের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় বহন করবে। কিন্তু আসল পরিচয় দেশের সাথে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রফেশনাল লাইফে অনেক অপশন তোমাদের আছে। আইটি বেজড্ অনেক আইন তৈরি হচ্ছে। আইনের স্টুডেন্ট হিসেবে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি আইন পড়েছো। তুমি সেখানেও লিড করতে পারবে। প্রত্যেকটা কর্পোরেট সেক্টরে লিগাল এডভাইজার লাগে। কারণ লিগালাইজেশন ছাড়া কোনো কিছুই চলে না। অতএব তোমাদের যে স্কোপ, তোমাদের যে সম্ভবনা সেটা তোমরা চমৎকারভাবে কাজে লাগাতে পারো।
আপনার মতামত লিখুন :