Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
অফিসে বসানো দুটি চেয়ার

প্রধান শিক্ষকের চেয়ার নিয়ে দুই শিক্ষকের টানাটানি


দৈনিক পরিবার | বিকাশ স্বর্নকার সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম প্রধান শিক্ষকের চেয়ার নিয়ে দুই শিক্ষকের টানাটানি

বগুড়ার সোনাতলায় প্রধান শিক্ষকের চেয়ারটি নিয়ে দুজনের মধ্যে চলছে টানাটানি। ঘটনাটি পৌর শহরের সরকারি সোনাতলা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। দুজন শিক্ষকেরা হলেন জিএম আহসান হাবীব ও প্রভাষক শাহাদুজ্জামান।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, এতে করে দু-শিক্ষকের মাঝে যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অফিস রুমে গিয়ে চোখে পড়লো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ার এর পার্শ্বে আরেকটি চেয়ার রাখা হয়েছে। ফলে দিন দিন বিষয়টি নিয়ে ধুম্র জাল সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ওই চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে চলমান বিবাদে লেখা পড়ার জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তবে অফিসিয়াল যাবতীয় কার্যক্রমে আহসান হাবীবকেই স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে।
ঘটনার সুত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান মতি অবসরে গেলে সে সময় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে জিএম আহসান হাবীব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পান। তবে পরবর্তীতে আহসান হাবীব যেকোনো কারণে ভারপ্রাপ্তের দ্বায়িত্বভার শাহাদুজ্জামানকে বুঝিয়ে দিলে ওই চেয়ারে বসে দ্বায়িত্ব পালন করে শাহাদুজ্জামান। নিয়মানুযায়ী আহসান হাবীবের দ্বায়িত্ব ভারের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মহাপরিচালক অফিসে গেলে পত্রটি গ্রহণ না তা ফেরত পাঠান। একারণে পরবর্তীতে প্রভাষক শাহাদুজ্জামান ডিডি অফিসে যোগাযোগ করলে পদত্যাগ কারীকে স্ব-শরীরে দপ্তরে উপস্থিত দেখতে চায় অফিস। কয়েক দিন পর চেয়ারে থাকা প্রভাষক সাজু সাবেক প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান ও আহসান হাবীবকে সঙ্গে করে ডিজি অফিসে গেলে ডিজি মহোদয় বিষয়টি অবগত হয়ে বলেন, শারীরিক অবস্থা অক্ষম হলে সে আর চাকুরী করতে পারবে না। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান জেনে শুনে ক্ষতি করা যাবে না। সেখানে থেকে ফিরেই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসে সবকিছু জানান আহসান হাবীব। তখন সবাই বলেন যেহেতু পদত্যাগটি গ্রহন হয়নি সেহেতু প্রশাসনিক ক্ষমতা তারই রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার বৈধতার বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শাহাদুজ্জামান সাজু বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি তবে আশানুরূপ সমাধান না হওয়ায় আমি ঢাকা ডিজি অফিসে যাবো। সেখানকার নির্দেশ অনুযায়ী আমি এ প্রতিষ্ঠানে দ্বায়িত্ব পালন করবো।
এ বিষয়ে আরেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিএম আহসান হাবীব বলেন, আমি স্বেচ্ছায় দ্বায়িত্ব ভার ছাড়িনি। আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। সে কারণে চেয়ার ফিরে পেতে আমি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ নজমুল হক জানান, প্রতিষ্ঠানে দুই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকার কোন সুযোগ নেই। যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আছেন তিনিই থাকবেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান সহ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সাহাদুজ্জামান ডিজি মহোদয়ের কার্যালয়ে গেলে ডিজি মহোদয় নির্দেশনা দেন যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যিনি ছিলেন তিনিই বলবৎ থাকবেন। নির্দেশনা উপেক্ষা করে শাহাদুজ্জামান প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে আমি চাবি আহসান হাবীবকে বুঝিয়ে দিতে বলেছি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিকের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি ধরেননি।

Side banner