বগুড়ার সোনাতলায় টিএম ম্যামোরিয়াল একাডেমীর শিক্ষার্থীরা উন্নয়ন ও সংস্কারে লিখিত ভাবে দাবি জানালেন প্রধান শিক্ষককে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় এ প্রতিষ্ঠানেও বেশ কিছু সংস্কারের প্রয়োজন। তারা লিখিত ভাবে ২৫টি বিষয় সংস্কারের দাবি তুলে ধরেন। অনুলিপিতে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, উপজেলা শিক্ষা অফিস ও ইউএনও কে অবগত করা হয়।
উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো, যোগ্যতার ভিত্তিতে শ্রেণীতে পাঠদান, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনের মান উন্নত খাবার রাখা, মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কমন রুমের ব্যবস্থা, ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত মাসিক বেতন সহনীয় পর্যায়ে আনা, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক সুমন, মোশাররফ, মোনারুল, রাজ্জাক দ্বারা ক্ষমতার অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ, হুমকি দেওয়া এবং শিক্ষক রাজ নানা সময়ে সিঁড়ির নিচের রুমেই শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করতো এসবের প্রতিকার সহ সংস্কারের দাবি তুলে ধরেন প্রধান শিক্ষককের নিকট।
তবে প্রতিষ্ঠানের অফিস ও অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে জানা যায়, গত ৩রা সেপ্টেম্বর ক্লাস চলাকালীন সময়ে পড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় গনিত শিক্ষক জনৈক এক ছাত্রকে ২টি বেত্রাঘাত করে। ওই দিনই বিকেলে একারণে ছাত্র ও পরিবারের সদস্যরা শারীরিক লাঞ্ছিত করে ওই শিক্ষককে।
এছাড়াও অভিযুক্ত শিক্ষকরা আরো জানান, দশম শ্রেণীর গুটি কয়েক শিক্ষার্থী মাঝে মধ্যেই সিগারেট সহ অন্যান্য নেশায় আসক্ত থাকতো। বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীরা জানালে নেশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া হয়।
এদিকে রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত শিক্ষক রাজ। বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকে ফোন দিলেও ফোনটি তিনি ধরেননি।
ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিক্ষার্থীরা ২৫টি দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। আমি তাৎক্ষণিক ২৩টি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছি এবং ৩টি দাবির বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ নজমুল ইসলাম বলেন, ওই প্রতিষ্ঠান একটি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত। ওখানে এমপিও ভুক্ত আমাদের শিক্ষকও রয়েছে। আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছি বিষয়টি আলোচনা করে মিমাংসা করার ব্যর্থ হলে আমরা দেখবো।
আপনার মতামত লিখুন :