Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

কয়রায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও মামলা


দৈনিক পরিবার | কয়রা প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম কয়রায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও মামলা

খুলনার কয়রায় ভাগবাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জিএম অদুদ হোসেনের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তিনি বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ট্রেন্ডার হওয়ার আগেই গোপনে সমস্ত ইট, দরজা, জানালা ইত্যাদি বিক্রয় করে আত্মসাৎ ও রাজনৈতিক পদে থেকে ইউপি নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ ও এলাকার লোকজনকে মারধর, চাঁদাবাজিসহ জীবননাশের হুমকী প্রদানসহ সরকারি চাকুরীর বিধিমালা ভঙ্গ করাসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মোঃ মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কয়রা বরাবর আবেদনসহ মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উক্ত স্কুলে গত ইং ০১/০৯/২০২৪ তারিখ রবিবার অভিযোগকারী তার ছেলেকে টিফিন দিতে গেলে দেখতে পায় পুরাতন ভবনের ওয়ালের ইট, দরজা, জানালা কিছুই নাই।
পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে অত্র মালামাল জি এম অদুদ হোসেন (ভারপ্রাপ্ত) বিক্রয় করে নিজেই আত্মসাৎ করেছে। উক্ত বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ইট টেন্ডার ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জি এম অদুদ হোসেনের সহযোগিতায় ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম অবৈধ ভাবে রাস্তার সোলিং এর কাজেও লাগিয়েছে। তা ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জি এম অদুদ হোসেন বাকি ইট বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করিয়াছে। ইতোমধ্যে ইট ক্রেতারা স্বীকারোক্তী দিয়াছে।
তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পদে আসীন থেকে রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে সরাসরি যুক্ত থাকিয়া ইউপি নির্বাচনে সরাসরি রাজনৈতিক ভাবে অংশগ্রহণসহ অপর পক্ষকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন ও হুমকী প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন লোকদের নাশকতা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়সহ তাহার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় মতলেব শিকারি জানান, আমার কাছে ঐ অদুদ মাস্টার চাদা দাবি করেছিল, চাদা না দিলে আমাকেসহ আমার পরিবারকে মাটি চাপা দিতে চেয়েছিল। আমি প্রাণের ভয়ে ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্নের শঙ্কায় তার কিছু দাবি পুরুন করেছি, পুনরায় তার চাদার দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় আমাকে পরিবারসহ এলাকাছাড়া করেছে। এই জন্য আমি কয়রা আদালতে অদুদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। যাহার নম্বর সি আর ৪৪৯/২৪। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবেন।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজন জানান অদুদ হোসেন ক্ষমতার বলে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে অত্র স্কুলের ইট বালি কাউকে না জানিয়ে বিক্রয় করে উক্ত টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।  এছাড়াও এই স্কুলের ইট তিনি ইউপি সদস্য এর নিকট বিক্রয় করে সরকারী রাস্তার কাজে লাগিয়েছে। তারা আরও বলেন অদুদ মাস্টার এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করেছে, অনেককে এলাকা ছাড়া করেছে। তারা অদুদ হোসেনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
ইট পরিবহনে ব্যবহারকারী ভ্যান চালক মুজাহিদ গাজী জানান, অদুদ মাস্টারের কথায় আমি ২ /৩ মাস  আগে ২/৩ হাজার ইট পুরাতন ভবন থেকে নিয়ে অদুদ মাস্টারের বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।  
ইট ক্রেতা কবির সানা বলেন আমি গোয়ালে ইট বিছানোর জন্য ৩০০ ইট অদুদ মাস্টারের নিকট থেকে কিনেছি। এছাড়াও প্রবির মণ্ডল জানান তিনিও ১৫০ ইট ১৪০০ টাকায় অদুদ মাস্টারের নিকট থেকে কিনেছে।
অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু জাফর মুঠোফোনে জানান, ইট দরজা জানালাসহ মালামাল কে বিক্রি করেছে বা কে কিনেছে আমি জানিনা। যেহেতু অদুদ হোসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ত্বে সেহেতু দায়ভার তার ওপর বর্তায়। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন এটা সত্যি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপন বাবু মুঠোফোনে জানান, আমি বাহিরে আছি, অফিসে গ্রহণ করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অফিসে কেউ গ্রহণ করতে পারে। অফিসে পৌঁছানোর পরে কথা হলে তিনি জানান আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলছি। এরপর তাকে বারবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
অভিযোগের ব্যাপারে জিএম অদুদ হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো মিথ্যা। এটা স্থানীয় কোন্দল ছাড়া আর কিছুই না।

Side banner

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর