দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও হাসপাতাল চালু না হওয়ায় গত ৫ দিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে কলেজের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড গড়ে অবরোধ করেন তারা। এতে সড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে আহত হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে সেনাবাহিনী তাদের সরিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা চাই পড়াশোনা করতে, কিন্তু হাসপাতাল না থাকায় বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বারবার দাবি তোলা হলেও কেউ গুরুত্ব দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই আন্দোলনে এভাবে বলপ্রয়োগ হবে তা ভাবিনি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, আমরা রাস্তায় অবরোধের সময় সেনাবাহিনী আমাদের ৫ মিনিট সময় দেয়। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার আগেই তারা লাঠিচার্জ করে।
ঘটনার পর সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক অবরোধ করায় শিক্ষার্থীদের সরানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে পাঠদান শুরু হলেও আজও হাসপাতাল চালু হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্লিনিক্যাল শিক্ষা ছাড়া মেডিকেল পড়াশোনা অসম্পূর্ণ। ওয়ার্ড সুবিধা, ট্রান্সপোর্ট, পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
আপনার মতামত লিখুন :