Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

জোহা দিবসকে জাতীয়করণের দাবি 


দৈনিক পরিবার | মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম জোহা দিবসকে জাতীয়করণের দাবি 

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ১৯৬৯ সালের আজকের এই দিনে শহীদ শামসুজ্জোহা স্যার বুক পেতে দিয়েছিলেন। সেই শহীদ জোহার স্মরণে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেসক্লাবের সদস্যরা। 
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে শহীদ শাসসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ কর হয়।
এসময় প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক বলেন, "বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে গেলে ড. জোহা স্যারকে বাদ দিয়ে লেখা যাবে না। তিনি ছিলেন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা। তিনি শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে গেছেন কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হয়। তার অনুপ্রেরণায় ভবিষ্যতের সব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।"
প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবায়ের জামিল বলেন, "জোহা স্যার প্রাণ দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। ১৮ই ফেব্রুয়ারিকে জাতীয়করণ না করা জাতির জন্য এক চরম ব্যর্থতা। এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশে এটাও চরম বৈষম্য বলে আমি মনে করি। আমাদের কলম নামক অস্ত্রের মাধ্যমে এ দিবসকে জাতীয়করণ করার জন্য জাতির কাছে তা তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর। জোহা স্যারের প্রয়াণকে বৃথা যেতে দিবো না।" 
শামসুজোহা স্যারের ইতিহাস উল্লেখ করে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মাহিন বলেন, "১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্ররা যখন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মাঠে নামে তখন পাক সেনারা ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। আহত শিক্ষার্থীদের রক্তমাখা টিশার্ট হাতে নিয়ে তৎকালীন প্রক্টর শামসুজ্জো স্যার বলেছিলেন, 'আমার ছাত্রদের রক্তে আমি উজ্জীবিত, দ্বিতীয়বার তাদের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন তা আমার গায়ে বিঁধে' এবং পরবর্তীতে তিনি পাক সেনাদের গুলিতেই নিহত হয়। জোহা স্যার জুলাই আন্দোলনে রাবি শিক্ষার্থীদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম।" 
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন জানান সদস্যরা। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফোকলোর বিভাগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, রাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক মৌসুমী নাসরিন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কালো পতাকা উত্তোলন করে, প্রশাসন ভবন, ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর, আবাসিক হল প্রশাসন ও অন্যান্য ভবন, বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় শহীদ জোহার সমাধি ও জোহা স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

Side banner