পৃথক দুটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। দুটি প্রকল্পের মধ্যে রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা স্থিতিস্থাপক নগর ও আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার এবং সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট প্রোগ্রাম বা দ্বিতীয় বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু-সহিষ্ণু শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুটি ঋণে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক, ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক অর্থায়ন চুক্তিতে সই করেছেন। পরে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রিসাইলেন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এলজিইডিকে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর-আবকাঠামো ও সুবিধাদি নির্মিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত ১ কোটি ৭০ লাখ জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর-আবকাঠামো ও সুবিধাদি নির্মিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি করপোরেশনে বসবাসরত ১ কোটি ৭০ লাখ জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
অন্যদিকে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গতি বজায় রাখা, আর্থিক খাতের নীতি শক্তিশালীকরণ ও জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহকে শক্তিশালীকরণ এবং জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
আপনার মতামত লিখুন :