দেশের সার্বিক বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন ভাবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা নানা সংকটের মুখে পড়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিক পক্রিয়ায় ব্যবসায়ীরা সহজেই আগের মতো ব্যাংক ঋণ পাচ্ছে না। তাছাড়া ডলার সংকটের কারণে বেশকিছু দিন ধরে ব্যবসায়িক লেনদেনে নানা ভাবে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে। যে কারণে দেশের বাজার পরিস্থিতি অনেকটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতি দেখা গেছে। দেরিতে হলেও নতুন ধান বাজারে আসায় এবং সবজির বাজার ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতিতে বর্তমানে প্রায় সদস্য সংখ্যা ৬’শ ৫০ জন। তার মধ্যে নিয়মিত মাসিক চাঁদা প্রদান করছে ১’শ ২০ জন। নাগেশ্বরী উপজেলায় বিভিন্ন বাজার সমূহ তাদের কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হলেও সকল কমিটির কার্যক্রমের সাথে নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতি যুক্ত রয়েছে।
বর্তমানে নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে মোঃ ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলহাজ্ব আনিছুর রহমান দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে নাগেশ্বরী বাজারকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নৈশ্য প্রহরী ৩ জনের স্থলে বর্তমানে ৭ জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মাঝে মধ্যেই যেখানে কাঁচা বাজারে বিভিন্ন বিরোধ লেগে থাকতো, সেখানে বিরোধ নিরসনে মনিটরিং কমিটি দেয়া হয়েছে। বণিক সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫’শ এর স্থলে ৬’শ ৫০ এ উন্নিত করা হয়েছে। সমিতির তহবিলে ২ লক্ষ টাকা রয়েছে। কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ ফজলুল হক জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রমের কারণে অনেক নিরহ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত। একই প্রতিষ্ঠানে বার বার রেট দেয়া হলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। উৎপাদন পর্যায়ে পলিথিন বন্ধ করা হলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। বাজারের সরকারি জায়গায় সরকারি ভাবে বহুতল মার্কেট নির্মাণ করা হলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে।
বিভিন্ন বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান জানান, নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতির বিল্ডিং ভবনটি ৪ শতকের মধ্যে রয়েছে এবং সমিতির নামে আরো ১০ শতক জমি রয়েছে। সমিতির ফান্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা সংগ্রহ হলে আমরা সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করবো।
আপনার মতামত লিখুন :