Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

ইপিবি তিন মাস রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করবে না


দৈনিক পরিবার | অর্থনীতি ডেস্ক জুলাই ১৬, ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম ইপিবি তিন মাস রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করবে না

প্রতি মাসেই রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে থাকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তবে রপ্তানির তথ্যে বড় ধরনের গরমিল ধরা পড়ায় আগামী তিন মাস রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করবে না সংস্থাটি। এ সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয়ে তথ্যের গরমিলের কারণ খুঁজে বের করে সংশোধনের পর পুরনায় মাসভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী তিন মাস রপ্তানির তথ্য প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো খায়েরুজ্জামান মজুমদার, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির রপ্তানির পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গরমিলের অন্তর্নিহিত কারণ উদ্ঘাটনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, ও ইপিবি আগামী তিন মাসের মধ্যে এ গরমিলের মূল কারণ খুঁজে বের করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে এ সময়ে রপ্তানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে না ইপিবি। গরমিলের কারণ উদঘাটনের পর সেটি সংশোধন করে মাসভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সাধারণত, প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ইপিবি তার আগের মাসের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে থাকে। রপ্তানির তথ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক ফাঁরাক চিহ্নিত হওয়ার পর এখনও গত জুনের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে এ দুই সংস্থার রপ্তানি পরিসংখ্যানে ১০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য ছিল। এর আগের অর্থবছরে এ দুই সংস্থার পরিসংখ্যানে ফারাক ছিল ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া পরিসংখ্যানের ব্যবধান ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৮৪৮ কোটি ডলার বা ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৭৯ কোটি ডলার বা ১২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৭০ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

Side banner