পরিশোধিত ও অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান অয়েল বা কুঁড়ার তেল রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর নতুন এই হারে শুল্ক বসিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে।
এতে বলা হয়, কাস্টমস আইন ২০২৩–এর ক্ষমতাবলে কুঁড়ার তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ হারে রেগুলেটরি শুল্ক আরোপ করা হলো। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত উভয় ধরনের কুঁড়ার তেল রপ্তানিতে এ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত এই তেল দেশের ভোজ্য তেলের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ‘২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ’ মেটাতে সক্ষম।
দেশে উৎপাদিত রাইস ব্র্যান অয়েল স্থানীয় বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ভোজ্য তেলের বাজার ‘স্থিতিশীল’ রাখা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এনবিআর।
সর্বশেষ ৯ ডিসেম্বর ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম সর্বোচ্চ ৮ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ১৭৫ টাকা। দুই লিটারের বোতলে তা ৩৮০ টাকা এবং ৫ লিটার ৮৫২ টাকা। খোলা সয়াবিনের খুচরা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৫৭ টাকা। তার আগে বোতলের সয়াবিনের দাম ১৬৭ টাকা এবং খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।
পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০১১ সালে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড হোয়াইট গোল্ড ব্র্যান্ড নামে প্রথম ধানের কুঁড়ার তেল উৎপাদন শুরু করে। এরপর বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান এই ব্যবসায় যুক্ত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :