লক্ষ্মীপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের তথ্যমতে ডাকাতি হওয়া এক লাখ ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে পুলিশ। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতে ডাকাতির ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে বেলালের বিরুদ্ধেই ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের রতনেরখিল গ্রামের সফি উল্যাহর ছেলে বেলাল হোসেন, রামগতি চর কলাকোপা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে আবুল কালাম ও নোয়াখারীর সুধারাম থানার পশ্চিম নিরঞ্জনপুর মজিবুল হকের ছেলে সাইদুল হক আরিফ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ক্রামই এন্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপন এই তথ্য জানান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে আহম্মদ মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে ৪ জানুয়ারি ভুক্তভোগী আহম্মদ বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে গত ৮ জানুয়ারি মো. লিটন ও মো. হৃদয় নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লিটন মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের মনছুর আহাম্মদের ছেলে ও হৃদয় হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে। পরদিন তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী ১২ জানুয়ারি (রোববার) রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার এলাকা থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে মিয়ার বাজারের একটি জুয়েলার্স দোকান থেকে ডাকাতি করা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। একইভাবে অপর দুই আসামি আরিফকে নোয়াখালীর মাইজদী ও কালামকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতির আজাদনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে এক জোড়া রিং ঝুমকা, একজোড়া ছোট দুল, একজোড়া কলেজরিং ঝুমকা, একপিস নথ ও একটি পার্টি চেইন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :