দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অবৈধভাবে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি পরিবহন ও বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল আল মামুন কাওসার শেখ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লালমাটি শ্যামপুর গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে উপজেলার লালমাটি শ্যামপুর গ্রামের প্রভাবশালী স্থানীয় একটি মহল প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে পুকুর সংস্কারের নামে খনন করতে থাকে। কিন্তু তারা ১০-১৫ ফুট গভীর পর্যন্ত মাটি খনন ও অবৈধভাবে পরিবহন করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করছিলেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুষ্কৃতিকারীরা তার উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি বহনকারী ড্রাম ট্রাক ও মাটি খননযন্ত্র স্কেভেটর রেখে পালিয়ে যায়। চক্রটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অবৈধভাবে পুকুরের মাটি খনন ও বিক্রির দায়ে তাদের ৩টি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড লালমাটি শ্যামপুর গ্রামে সরকারি অনুমতি না নিয়ে তাদের ইচ্ছেমত দিনে-রাতে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি পরিবহন ও বিক্রির করছে একটি কুচক্রি মহল।
তিনি আরো বলেন, যেখান থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে তার জন্য কোন অনুমতি প্রশাসনের নিকট নেওয়া হয়নি এবং মাটি উত্তোলনের জায়গাটি বিতর্কিত। বালুমহল ও ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী প্রসাশনের অনুমতি না নিয়ে কেউ পুকুর খনন করতে পারবে না। আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে মাটি পরিবহন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয়ভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং অবৈধভাবে পুকুর খননকারীদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :