কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের তালতলা কৃষ্ণপুর কলেজ পাড়ায় হয়রানী মূলক অভিযোগ দিয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদানের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হয়রানীমূলক অভিযোগকারী কাজী মাওলানা নুরুজ্জামান নিজে পৌরসভার বিল্ডিং কোড অমান্য করে তিন তলা বহুতল ভবন সহ প্রাচীন নির্মাণ করলেও এখন তিনি পৌরসভার বিল্ডিং কোড মানার জন্য প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারই প্রতিবেশী মোঃ আজিজুর রহমান।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের তালতলা কৃষ্ণপুর কলেজ পাড়ায় ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দলিল মূলে তিন শতক জমি চলতি বছর ক্রয় করেন ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাজলদহ গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের পুত্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ আজিজুর রহমান। উক্ত জমির প্রতিবেশী কাজী মাওলানা নুরুজ্জামান তার বসতবাড়ি সংলগ্ন জমি ক্রয় করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হন। এরই প্রতিক্রিয়ায় উক্ত জমির বর্তমান মালিক মোঃ আজিজুর রহমান তার ক্রয়কৃত জমিতে টিনসেড ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে অহেতুক একটি হয়রানী মূলক অভিযোগ লিখিত আকারে পৌরসভায় দায়ের করেন কাজী মাওলানা নুরুজ্জামান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌর প্রশাসনের লোকজন গত বুধবার ৪ ডিসেম্বর’২০২৪ইং সরেজমিনে গিয়ে নির্মাণ কাজের ছবি তোলা সহ কাজটি বন্ধ করে দেয়। অথচ হয়রানী মূলক অভিযোগের শিকার মোঃ আজিজুর রহমান এর প্রতিবেশী কাজী মাওলানা নুরুজ্জামান নিজেই কুড়িগ্রাম পৌরসভার বিল্ডিং কোড অমান্য করে তিন তলা বহুল ভবন নির্মাণ সহ পৌর কর্তৃপক্ষের বাঁধা প্রদানের পরেও রাতের অন্ধকারে একটি প্রাচীর নির্মাণ করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আজিজুর রহমানের টিনসেড বাড়ি নির্মাণ কাজে হয়রানীমূলক অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দেয়ায় পরিবারটি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই ঘটনায় তালতলা কৃষ্ণপুর কলেজপাড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাটিতে প্রায় বসতবাড়িগুলো স্থানীয় ভাবে তেমন পৌরসভার বিল্ডিং কোড না মেনেই জায়গা স্বল্পতার কারণে নির্মাণ করা হয়ে আসছে বলে সাধারণ মানুষের অভিমত।
এ ঘটনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান দাবি করে জানান, আমার ক্ষেত্রে যদি কুড়িগ্রাম পৌরসভার বিল্ডিং কোড যথাযথ ভাবে মানতে হয় তাহলে কাজী মাওলানা নুরুজ্জামানের ক্ষেত্রে অনুরুপ বিল্ডিং কোড মানার নির্দেশনা কেন বাস্তবায়ন হবে না। তাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিল্ডিং কোড মেনেই বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে। প্রয়োজনে তিনি যে সকল নির্দেশ অমান্য করেছে তা ভেঙ্গে দিয়ে হলেও বাস্তবায়ন করা হোক। এটা বাস্তবায়ন হলে আমার স্থাপনাতেও আমি যথাযথ বিল্ডিং কোড মানতে বাধ্য থাকিবো। কারণ আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বাধা দেয়া স্বত্ত্বেও আমার ক্রয়কৃত জায়গা দখল করে কাজী মাওলানা নুরুজ্জামান পেশি শক্তির বলে তার বসতবাড়ির সীমানা নির্মাণ করেছেন। এটার যথাযথ প্রমাণ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :