বগুড়ার সোনাতলায় পুর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশীর হামলায় পিতা পুত্র আহত হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার দিগদাইর ইউনিয়নের কলেজ দহপাড়ায়। এঘটনায় তিনজন স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিলেও একজনকে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবার।
আহতরা হলেন ফুল মিয়ার ছেলে আবু তাহের, পলাশ মিয়া, তালাশ মিয়া ও মৃত মোসলেম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে ফুল মিয়া।
স্থানীয়রা ও আহত পলাশ মিয়া জানান, আবু তাহের এর বাড়ি সংলগ্ন সুলতান মিয়ার পরিত্যক্ত ভিটায় তাহেরের গরুর বাছুর কয়েক দিন আগে সকালে ঘাস খাওয়ার উদ্দেশ্যে যায়। তবে সে সময়ে সুলতান বাছুরটিকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এর জেরে বুধবার (২৭ নভেম্বর) তাহের বাড়ি থেকে বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে সুলতান মিয়া পথরোধ করে। এতে করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিবেশী রনজু, জুয়েল, পাপ্পু, আলম, সেলিম, শুকু মিয়া সহ তাহের এর উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে।
তাদের হামলায় তাহের মারাত্মক আহত হয়। সে সময়ে তাহেরকে বাঁচাতে তার ভাই পলাশ, তালাশ ও তাহেরের পিতা ফুল মিয়া এগিয়ে এলে প্রতিবেশীরা তাদেরকেও মারধর করে। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাহের কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। কিন্তু তাহেরের অবস্থা আসংখ্যা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। মারধরের বিষয়ে জানতে সুলতানের বাড়িতে গেলে সুলতানকে পাওয়া যায়নি। তবে বাড়িতে পাওয়া গেল পাপ্পুকে। পাপ্পু তাহেরকে মারার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন দু-একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করেছি বেকায়দায় লাগলে করার কিছু নেই।
এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পরিবার।
আপনার মতামত লিখুন :