ঝালকাঠির রাজাপুরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল) এর সরকারী অফিসে সারি সারি গাছের গুঁড়ি ও জ্বালানীর লাকরী সাজিয়ে রাখা হয়েছে। একজন গাছের গুঁড়ি কেটে লাকরী বানাচ্ছে এবং ওখানে বসেই আবার তা বিক্রি করছে।
জানা গেছে ওই অফিসেরই কর্মচারী মো. লিটন ব্যক্তিগতভাবে এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ লাকরীর ব্যবসা করে আসছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজাপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের প্রবেশ গেইটটি ছিলো তালাবদ্ধ। অফিস কম্পাউন্ডের পুরো জায়গা ছিলো বিভিন্ন ধরনের লাকরীতে ভরপুর। দীর্ঘদিন ধরে লিটন এখানে লাকরী বেচাকেনা করেন। বড় বড় গাছ কিনে টিএন্ডটি অফিস কম্পাউন্ডেই তা কাটা হয় এবং সারি সারি সাজিয়ে রেখে এখান থেকেই তা বিক্রি করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ লিটন তার স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসকে লাকরী ব্যবসার গোডাউন বানিয়ে রেখেছে। এখানে মাদকের আড্ডাও বসে মাঝে মাঝে। এ ছাড়াও এখানে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত প্রায়ই লক্ষ করা যায়। টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা এখানে না আসার সুযোগে লিটন সরকারি এ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাক্তিগত লাকরীর গোডাউন বানিয়েছে।
এ বিষয়ে রাজাপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কর্মচারি ও লাকরী ব্যবসায়ী লিটন জানান, এখানে ব্যবসা করা অন্যায়। তাকে কম বেতন দেওয়ার কারণে তিনি এখানে এ ব্যবসা করেন। তবে শিঘ্রই তিনি এখান থেকে সকল লাকরী অন্যত্র সরিয়ে নিবেন।
বাংলাদেশ সরকারি টেলিফোন সংস্থা (টিএন্ডটি) ঝালকাঠি এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম খান বলেন, পহেলা নভেম্বর এর মধ্যে লাকরী সরিয়ে জায়গা খালী করার জন্য লিটনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই জায়গা পরিস্কার করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :