Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ

নাজিরপুরে আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে ৪ পরিবার নিঃস্ব


দৈনিক পরিবার | অনুপ কুমার সিকদার জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম নাজিরপুরে আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে ৪ পরিবার নিঃস্ব

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের মো. সোহাগ ভুঁইয়া (৩০) নামের এক আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে একই এলাকার ৪ পরিবার নিঃস্ব হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদম ব্যবসায়ী সোহাগ নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের রুহিতলাবুনিয়া গ্রামের মো. আলমগীর ভুঁইয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগীরা হলেন, একই উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কাজীর ছেলে মো. জুয়েল কাজী, সামসুল হক কাজীর ছেলে কাজী এমদাদুল হক, মৃত আব্দুল মালেক কাজীর ছেলে কাজী আলমামুন। এছাড়া ঝালকাঠী জেলার ১নং চেচরিরামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চেচরি গ্রামের তৈয়ব আলী হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হওলাদার। এদের প্রত্যেকের নিকট থেকে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ওই চার ভুক্তভোগী পিরোজপুরের পুলিশ সুপারের নিকট অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী সোহাগ ও তার পিতা আলমগীর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মো. সোহাগ ভূঁইয়া কয়েক বছর যাবত দুবাই থাকেন এবং সেখানে এবি ট্রাভেল এন্ড টাইপিং এবং সোহাগ ভূঁইয়া প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস নামের দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
এ সুবাদে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে নিজ এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকুরি ও ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের কোন চাকুরি না দিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও জিম্মি করে স্ট্যাম্পে জোড় পূর্বক স্বাক্ষর রেখে টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে দুবাই পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর  হুমকি দেয়। এছাড়া প্রতারক সোহাগ ভূঁইয়ার পিতা মো. আলমগীর ভূঁইয়া তিনি নিজ এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক সংগ্রহ করে ছেলের এ প্রতারনা কাজে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী কাজী আল মামুন এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ওই প্রতারক সোহাগের সাথে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক ছিল, সে আমাকে দুবাই তার ব্যবসার অংশীদার হিসাবে রাখবে বলে আশ^াস দেয় এবং আমি আমার ভিটে মাটি বিক্রী করে ওই প্রতারক সোহাগের প্রলোভনে ২০২৩ সালের ৩ জুন তারিখে তার পিতা আলমগীর ভূঁইয়ার নিকট দুই ধাপে তাকে ২১ লক্ষ টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে আমি দুবাই গেলে আমাকে কোন কাজ বা ব্যবসার অংশীদার না দিয়ে কয়েকমাস জিম্মি রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে রাখে এবং দেশে ফেরত না গেলে আমাকে দুবাই পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলা হাজত খাটাবে মর্মে হুমকি দেয়। আমি প্রাণ ভয়ে দেশে ফিরে এলে আমাকে ৪ লক্ষ টাকা ফেরত দেয় বাকী ১৭ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে মারধর এবং মিথ্যা মামলার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশ সুপার পিরোজপুরের বরাবরে একটি লিখিত অভিযাগ করি।
অভিযুক্ত দুবাই প্রবাসী মো. সোহাগ ভুঁইয়ার ব্যবহৃত ০০৯৭১৫৬৮৪৪০২২৭ নম্বরের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোাস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, আমি ওসি ডিবিকে ঘটনার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেছি।

Side banner