বগুড়ার শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে কথিত প্রেমিক। পরে সেই ভিডিও দিয়ে ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করছিল কথিত প্রেমিকের আরেক বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুণ্ডি গ্রামে। উক্ত ঘটনায় শনিবার (৮ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত মো. সুজন মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার (৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। গ্রেপ্তার সুজন মিয়া ধনকুণ্ডি গ্রামের এজাব আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তার স্ত্রী একটি কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রান্না করে খাওয়াতেন। আর এই সুযোগে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা এলাকার সৈয়দ আলী সরকারের ছেলে তাজুল ইসলাম ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাজুল ইসলাম নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৬ আগস্ট রাতে শয়নকক্ষে ঢুকে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তিনি। আর কথিত প্রেমিকের আরেক বন্ধু সুজন মিয়া গোপনে ওই ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও করেন। পরবর্তীতে ভিডিওটি স্কুলছাত্রীকে দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন সুজন। অন্যথায় তার সঙ্গে শারীরীক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন তিনি। একপর্যায়ে ব্ল্যাকমেইল করে বিগত ৫ অক্টোবর সুজন মিয়া ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এ ছাড়া ভিডিওটি লম্পট সুজন তার আরও চার সহযোগীকে দেন এবং তাদের নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে ছড়িয়ে দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে সুজন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে রোববার বিকেলে বগুড়ায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :